বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় আরেকটি খাবার হল বাসন্তী পোলাও বা মিষ্টি পোলাও। গোবিন্দভোগ চাল আর গরম মশলার ভরপুর সুগন্ধ এই পোলাওয়ের বৈশিষ্ট্য যা দূর থেকে জানান দিতে পারে এর উপস্থিতি। এটি স্বাদে মিষ্টি জাতীয় খাবার যার নামটি এসেছে পোলাও এর বাসন্তী বা হলুদ রঙের থেকে।
আসুন এবার দেখে নিই বাসন্তী পোলাও রান্না করার রেসিপি।
উপকরণ (Ingredients):
- পুরোনো গোবিন্দ ভোগ চাল – 5 কাপ
- পেঁয়াজ কুচোনো – 1 টা ছোট
- আদা রসুন বাটা – 1 চা চামচ
- তেজপাতা – 3-4 টে
- ছোট এলাচ – 4 টে
- লবঙ্গ- 4-5 টে
- দারচিনি – 1 1/2 ইঞ্চি
- শুকনো লঙ্কা -2 টি
- ঘি – 1 কাপ
- কাজু বাদাম – 8-10 টি
- কিশমিশ
- নুন – স্বাদমতো
- চিনি – 3/4 কাপ
- হলুদ – 1/2 চা চামচ
প্রণালী (Instructions):
- চাল 2-3 বার ধুয়ে খুব ভালো করে জল ঝরিয়ে হালকা শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানোর জন্য চাল পরিষ্কার কাপড়ে আধ ঘণ্টা মতো বিছিয়ে রেখে দিলেই হবে।
- কড়াই গ্যাসে বসিয়ে সামান্য ঘি দিয়ে কাজু কিশমিশ ভেজে তুলে রাখতে হবে।
- এরপর বাকি ঘি কড়াইয়ে দিয়ে ,গরম হলে একে একে এলাচ, লবঙ্গ , দারচিনি, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ছেড়ে দিতে হবে। সুগন্ধ বেরোলে কুচোনো পেঁয়াজ দিয়ে 1 মিনিট মতো নাড়াচাড়া করে আদা রসুন বাঁটা দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। এখন হলুদটা দিতে হবে।
- এবার চালটা দিয়ে কম আঁচে ভাজতে হবে। ভাজতে ভাজতে চালগুলো দেখে স্বচ্ছ মনে হবে আর ঝুরঝুরে হয়ে এলে বুঝতে হবে চাল ভাজা হয়ে গেছে। এটা খুব ইমপর্ট্যান্ট যে চাল ঠিক মতো ভাজা না হলে পোলাও ঝরঝরে হবে না। বোঝার জন্য চাল দাঁতে কামড়ে দেখা যেতে পারে। চাল যদি দাঁতে বসে যায় তাহলে ভাজা হয়নি। আর যদি চাল কট করে শব্দ করে দাঁতে না লেগে ভাংগে তাহলে ভাজা হয়ে গেছে।
- চালের দ্বিগুণ পরিমাণ জল অর্থাৎ 10 কাপ গরম জল চালের মধ্যে দিয়ে ভালো ভাবে ফুটে উঠলে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
- মিনিট পাঁচেক পর ঢাকা খুলে কাজু, কিশমিশ, নুন আর চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার ঢাকা দিয়ে কম আঁচে 5-7 মিনিট মতো দমে রাখতে হবে। তারপর গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে কিন্তু ঢাকা খোলা যাবে না।
- 10 মিনিট পরে ঢাকা খুলে পোলাও আরেকবার নেড়েচেড়ে নিলেই পোলাও তৈরি। একটু ঠান্ডা হলে তারপর পরিবেশন করতে হবে। কষা মাংস, ছানার ডালনা, আলুর দম ইত্যাদির সাথে পরিবেশন করলে ভালো হবে।