Home » ভুলে যাওয়া বাঙালি পরিচালক এবং অভিনেতা সুশীল মজুমদারের জীবন নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র

ভুলে যাওয়া বাঙালি পরিচালক এবং অভিনেতা সুশীল মজুমদারের জীবন নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র

পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ সুশীল মজুমদার নামটার সাথে পরিচিতি নেই আজকের বাঙালির। তিনি একসময়ের বিখ্যাত পরিচালক এবং অভিনেতা, আজ তাকে মনে রাখেনি বাঙালি। তাকে স্মরণ করানোর জন্যই ইন্দ্রনীল সরকার ও সঞ্জয় মিশ্র এগিয়ে আসেন। তাদের হাত ধরেই মুক্তি পেয়েছে ‘The DOYEN’S JOURNEY THROUGH TIME’ নামে একটি তথ্যচিত্র। গতকাল হাজরার উত্তম মঞ্চে একটি প্রেস মিটের মাধ্যমে মুক্তি পায় তথ্যচিত্রটি। বাংলার চলচ্চিত্রের ভুলে যাওয়া একজন মানুষ সুশীল মজুমদারের জীবনের ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয় এই তথ্যচিত্রটি। প্রেস মিটে পৌঁছে গেছিল দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস টিম।

সুশীল মজুমদার যাকে বাঙালি ভুলে গেলেও বাংলা সিনেমাকে তিনি নানা ভাবে সমৃদ্ধ করে এসেছেন। ক্যামেরার সামনে ও পিছনে তিনি সমানভাবে সাবলীল ছিলেন। তাঁর কাজের সময়সীমা ছিল ১৯৩০-১৯৮০। তাঁর সুদক্ষ পরিচালনায় সেই সময়কালে মুক্তি পেয়েছে একাধিক হিট বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্র। ‘লাল পাথর’ ছিল তাঁর পরিচালিত সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়েও পারদর্শী ছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘চিড়িয়াখানা’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। সেই সময়কার তাবড় তাবড় রথীমহারথী দের সাথে তিনি কাজ করেছেন। উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, লিলি চক্রবর্তী, রাজ কুমা, হেমা মালিনী রাখী গুলজার কেউই বাদ নেই। এ হেন বহুমুখী প্রতিভাবান একজন মানুষকে বাঙালি মনে রাখতে পারেনি।

তথ্যচিত্রটির প্রযোজক সঞ্জয় মিশ্র সম্পর্কে সুশীল মজুমদারের দৌহিত্র। তিনি ছোটবেলা থেকেই দাদুর বিভিন্ন জিনিস, কাগজ প্ত্র সংগ্রহ করে রাখতেন। সেই সংগ্রহ তথ্যচিত্রের মাধ্যমে মানুষের কাছে এনে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয় ২০১৯ সালে। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নই হল গতকাল উত্তম মঞ্চে।

তিনি মঞ্চে উঠে জানান গত ৪ ঠা মে তার মা অর্থাৎ সুশীল মজুমদারের কন্যার জন্মদিন ছিল। এই তথ্যচিত্রটি তার দেওয়া তার মাকে জন্মদিনের উপহার। পরিচালক ইন্দ্রনীল সরকারও সুদক্ষতা ও ভালোবাসা দিয়ে করেছেন কাজটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান যুগের পরিচালক ও অভিনেতা অভিজিৎ গুহ।

তথ্যচিত্রটিতে সন্দীপ রায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী শতাব্দী রায় প্রমুখদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। অভিনেতা বরুণ চন্দের সুমধুর কণ্ঠের ভাষ্যপাঠের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে তথ্যচিত্রটি। তথ্যচিত্রটি নিয়ে খুবই আশাবাদী পরিচালক এবং প্রযোজক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!