ঢাকে কাঠি পড়েগেছে অনেক জায়গায়। শহরের অধিকাংশ পুজো কমিটিগুলো দর্শনার্থীদের জন্য যেন একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও আপনি যদি রাজস্থানের শীশ মহল কে উপভোগ করতে চান আপনাকে আসতেই হবে মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মন্ডপে। নিছক গ্লাস প্যালেসের প্রতিরুপই নয় তার সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় মন্ডপ সজ্জা।
করোনা মহামারির দাপট কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরেছে জীবন। কমিটির সদস্যরা এ বছর তাই উদযাপনকে আরও জাঁকজমকপূর্ন করতে প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাস্ত রয়েছেন। ৫৪ বছরে পা দিল এই পুজো কমিটি।
শীশ মহল “মিরর প্যালেস” নামেও পরিচিত। মূল্যবান পাথর এবং কাঁচ, সুন্দর হাতের কারুকাজ করা ছবিগুলো যেন এর সৌন্দর্য কে আরও বাড়িয়ে দেয়।
সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে মহম্মদ আলি পার্কের দুরগোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুরেন্দ্র কুমার শর্মা জানান, আমরা এ বছর শীশ মহল থিম হিসাবে উপস্থাপিত করছি। কারন অনেক মানুষ আমাদের অনুরোধ করেছিলেন কারন তারা রাজস্থান যেতে পারেন নি। কিন্তু কলকাতায় বসে সেই স্থাপত্যের স্বাদ নিতে চান। বিগত এক যুগের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অন্বেষন এক প্রচেষ্টা। আমরা আশাবাদী এই থিম দর্শনার্থীদের এক রাজকীয় অনুভূতি প্রদান করবে।
শ্রী অশোক ওঝা, মহম্মদ আলিপার্ক দুর্গা পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বলেন, হাজার হাজার কাঁচের ঝিকিমিকি প্রতিফলন শীশ মহল মন্ডপের চারিপাশকে আলোকিত করবে এবং প্রানবন্ত করে তুলবে। প্রাসাদের ইতিহাস কে পুনুরুজ্জিবিত করবে। রাজস্থানের রাজকীয় সৌন্দর্য্য এবং জাকজমকের প্রতিফলন হবে এই পুজো মন্ডপে। এই প্যান্ডেলের কারুকাজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
মন্ডপ গাত্রে ম্যুরাল এবং স্বতন্ত্র আয়না ও কাঁচের কাজ মন্ডপ টিকে আরও স্বতন্ত্র করেছে।
মধ্য কলকাতার জনপ্রিয় পুজো কমিটি গুলির মধ্যে অন্যতম হল এই মহম্মদ আলে পার্ক সার্বোজনীন দুরগোৎসব।