আজ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী, মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়, দ্বাদশ শ্রেনীর ১০ হাজার ছাত্র ছাত্রীদের হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য স্মার্ট ফোন কেনার জন্য। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর ফলে প্রায় দু-বছর দেশের তথা রাজ্যের শিক্ষা ব্যাবস্থা হয়ে পড়েছিল অচল। বন্ধ হয়েছিল স্কুল কলেজ। শুরু হয়েছিল অনলাইন পড়াশোনার চল।
কিন্তু সেই সময় সকল ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্মার্টফোন না থাকায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের এ অবিভাবকদের। কারন একটা সঠিক পরিকাঠামো যুক্ত স্মার্টফোনের দাম খুব একটা কম নয় যা সেই সময় বা করোনা কাল অতিক্রান্ত হবার পরেও অনেকর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তখন থেকেই মাননীয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই নিয়ে তিন বছর ধরে তিনি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মার্টফোন কেনার আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন। না করোনা কাল আর নেই, তবে পরিবর্তন এসেছে সব ক্ষেত্রেই। শিক্ষা জগতেও এসেছে পরিবর্তন।
বর্তমান শিক্ষা জগতে ইন্টারনেটের ব্যাবহার অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তাই মাননীয়া তার সিদ্ধান্তে অচল। যদিও রাজ্যে বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এছাড়াও মাননীয়ার বক্তব্য নিয়ে যারা সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল করেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হলেন এই বয়সের ছাত্রছাত্রীরা। বলা বাহুল্য এই স্মার্টফোনের দৌলতেই সামাজিক মাধ্যমে মাননীয়া বিভিন্ন বক্তব্য কে বেশীর ভাগ সময়ে ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে প্রচার করা হয়। তবুও মাননীয়া সেই অস্ত্র কেনার জন্যই আর্থিক সাহায্য করলেন ছাত্রছাত্রীদের মঙ্গলের জন্য।
যদি বিরোধীদের কাছে পুজো বা মেলার অনুদান অযৌক্তিক হয়ে থাকে তাহলে এই উদ্যোগ কেও কুর্নিশ জানানো উচিত। কিন্তু বঙ্গ- রাজনীতি কোনদিনও সেই রাজনৈতিক উদারতা দেখার সৌভাগ্য করেনি। এখানে শুধুই কাদা ছোড়াছুড়ি।
রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি-র আর্থিক সচ্ছলতা বোঝাযায় তাদের কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে রিসর্টে দলীয় কর্মসুচী বা মিটিংয়ে। ভোটের সময় রাজ্যের কোন দরীদ্র পরিবারে খেয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে কিন্তু রাজ্যের গরীব ছাত্রছাত্রীদের পাশে তাদের এখনো দেখা যায়নি।