যাক অবশেষে একটা বিতর্কের শেষ দেখা গেল। বিগত প্রায় এক বছর ধরে অর্থাৎ গত বছর ডিসেম্বর নাগাদ যখন UNECO থেকে দুর্গোৎসব কে হেরিটেজ সম্মান জানিয়েছিল সেদিন থেকেই বাঙালী পুজোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। সেই সঙ্গে মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছিলেন ১লা সেপ্টেম্বর UNESCO কে বাংলা থেকে সম্মান জানাতে এবং এই হেরিটেজ সম্মান কে উদযাপন করার জন্য কলকাতার রাজপথে হবে মহামিছিল।
মহামিছিলের ঘোষনা হবার পরেই শুরু হয়েযায় প্রশাসনিক তৎপরতা। কিন্তু এখানেই শুরু এক নতুন বিতর্কের।
তপতি গুহ ঠাকুরতা নামটি ক্রমশ নেট নাগরিকদের কাছে পরিচিত পেতে থাকে। কে এই তপতি গুহ ঠাকুরতা? কি করেন? এই সব কিছুই ফেসবুক টুইটারে সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন।
একজন ইতিহাসবিদ এবং দূর্গোৎসব নিয়ে বেশ কয়েক বছরের, যার একান্ত নিজস্ব গবেশনা ও ইউনেসকোর কাছে বাংলার দুর্গোৎসব কে হেরিটেজ সম্মানে ভূষিত করার আবেদন যে একক উদ্যোগী সেই তপতী গুহ ঠাকুরতা কোন অজ্ঞাত কারনে ছিলেন প্রচার বিমুখ।
অন্যদিকে রাজ্যের রাজনৈতিক বিরোধী দল ও সমালোচকরা সামাজিক মাধ্যমে মাননীয়া কে অন্যের সাফল্য কে নিজের বলে চালানোর কম কটাক্ষ করেননি।
হয়তো সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন আজ মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ মহামিছিলের পরে মঞ্চে মূখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনে দেখা গেল তপতী গুহ ঠাকুরতা কে। মাননীয়া তাকে ব্রাত্য রাখেননি। সামিল করেছেন এই মহা আনন্দ জজ্ঞে। কারন এই সম্মান আদায় করার কান্ডারী তো তিনিই।