বয়স ত্রিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই মুখে বয়সের ছাপ পড়ে গিয়েছে। বলিরেখা দেখা দিচ্ছে? কী করলে সারবে ভাবছেন? তাহলে এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন বলিরেখা দূর করার সহজ উপায় –
অ্যাভোকাডোকে বলা হয় সুপার ফুড। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা ত্বকে বার্ধক্য বিরোধী প্রভাব ফেলে। এজন্য অ্যাভোকাডো ফলের পাল্প পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে বলিরেখা কমে যায়।
মধু অনেক রোগ নিরাময় করে। মুখের বলিরেখা পড়া স্থানে আঙ্গুল দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন। এই প্রক্রিয়াটি কয়েকদিন করলেই বলিরেখার সমস্যা কমতে শুরু করবে।
আপেল সিডার ভিনেগারে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু জলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মুখের বলিরেখা কমাতে এটি খুবই উপকারী।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারেও কমাতে পারেন বলিরেখা। আঙুল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভিটামিন ই অয়েল রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করুন। বিজ্ঞানীর মতে, ভিটামিন ই বার্ধক্যজনিত বলিরেখা রোধ করে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
অ্যালোভেরা জেল মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে বলিরেখা কমে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন একবার অনুসরণ করুন।
পেঁপে এবং কলার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে দু’বার করুন। পেঁপেতে আছে বিটা ক্যারোটিন আর কলাতে বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।
প্রতিদিন ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলেও ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর বাইরেও আছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের বলিরেখা আটকায়। ঘুমানোর আগে ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
এছাড়াও ত্বক টানটান রাখতে নিয়মিত –
ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম শুধু যে আপনার শরীরের মাসলগুলোকে সুঠাম করবে তাই নয়, এতে মুখের পেশিগুলোও টোনড হবে। ওয়েট ট্রেনিং, কার্ডিওর মতো ব্যায়াম শরীরের মতো মুখেও একটা টানটান সুডোল ভাব এনে দিতে পারে। এ ছাড়া মুখের কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। নিয়মিত চিউয়িং গাম চিবোলেও মুখের পেশি টানটান থাকে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
খাবারের তালিকায় রাখুন মাছ, ডিম, বাদামের মতো আইটেম। তার সঙ্গে থাক ফল আর শাকসবজি। নিয়মিত সুষম খাওয়াদাওয়া করলে ত্বকের ইলাস্টিন আর কোলাজেন, দুটোই ভালো থাকবে।
মাসাজ নিন
শারীরিক, মানসিক ক্লান্তি ভুলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও কাজে লাগে মাসাজ। পছন্দের ক্রিম বা লোশন দিয়ে মুখের ত্বকে ধীরে ধীরে মাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল আর টানটান হয়ে উঠবে। জেড রোলার থাকলে তা দিয়ে মাসাজ করতে পারেন, নয়তো আঙুলের ডগা দিয়ে চেপে চেপে বৃত্তাকারে মুখ মাসাজ করুন, উপকার পাবেন।
প্রচুর জল খান
ত্বক টানটান রাখতে জলের ভূমিকা কতটা, সে তো সকলেই জানেন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা আর ইলাস্টিসিটি দুটোই বাড়বে। অন্তত ছ’ থেকে আট গেলাস জল খান, কিছুদিনের মধ্যেই তফাত বুঝতে পারবেন।