সামনেই দোল। কলকাতার ফুটপাথে হকাররা সাজিয়ে বসেছেন রকমারী রঙ, আবীর, পিচকারি ও নানা ধরনের টুপি আর মুখোশ নিয়ে। অন্যদিকে গত পরশু থেকেই বিভিন্ন কলেজে ও পাড়ায় পাড়ায় বসন্ত উৎসব কে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করোনাকালের অভিশপ্ত বিভীষিকাময় দিন গুলো ভূলে বাঙালির আট থেকে আশি মেতে উঠবেন দোল বা এই বসন্ত উৎসবের রঙে। বসন্তের রঙে রঙীন হয়ে উঠবে পথ ঘাট। মজা করেই চলবে একে অপর কে রঙ মাখানোর এই চেরাচরিত রীতি। না মাখতে চাইলেও প্রিয়জন আপনাকে জোর করে। আর এই জোর করতে গিয়েই কখনো কখনো ঘটে যায় দূরঘটনা। চোখের মধ্য রঙ ঢুকে গিয়ে হয় বিপত্তি। তাই এবার দোলে কিভাবে নিজের চোখের ও ত্বকের যত্ন নেবেন সেই নিয়ে রইলো কিছু টিপস।
রঙে থাকে নানান রকমের বিষাক্ত কেমিক্যাল যা আপনার চোখে লাগলে, চোখের ক্ষতি করতে পারে। প্রথমত কাউকে রঙ মাখাতে গেলে তার অনুমতি আছে কিনা জেনেই রঙ মাখানো উচিত। কখনোই ধস্তধস্তি করে রঙ ভাখানো উচিত না কারন তাতে শারীরিক আঘাত লাগতে পারে।
কনট্যাক্ট লেন্স পড়াটা এখন একটা ফ্যাশনের অঙ্গ। অনেকেই মনে করেন ফ্যাশনেবল কন্ট্যাক্ট লেন্স পড়ে রঙ খেললে সেটা ফ্যাশনেবল হবে এবং তার সাথে চোখের সুরক্ষা বজায় থাকবে। এটা একাবারেই ভুল এবং সাঙ্ঘাতিক ক্ষতিকর হবে আপনার চোখের জন্য। দোলে রঙ খেলতে গিয়ে কখনই কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে রঙ খেলবেন না। কারন লেন্সে রঙ আটকে গেলে তা আরো বেশী ক্ষতিকর হবে আপনার চোখের জন্যে। আপনি তার পরিবর্তে রোদ চশমা বা সানগ্লাস ব্যাবহার করতে পারেন। যদি কোন কারনে চোখে রঙ ঢুকে যায়। তাহলে সবার আগে পরিস্কার বিশুদ্ধ ও ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। কখনই চোক কচলাবেন না। চোখের জ্বালাভাব না কাটলে, কোন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করুন।
আবার অমাদের সকলের ত্বক সমান নয়। বাজারেল এই রঙের কেমিক্যাল থেকে অনেকেরই নানা রকমের উপসর্গ দেখা দেয়। এরকম নয় যেষগত বছরগুলিতে হয়নি বলে এবছর হবেনা। তাই রঙ খেলতে যাবার আগে গায়ে মুখে ও শরীরে নারকেল তেল (Coconut oil ) মেখেনিন। এতে দ্রুত রঙ উঠেযাবে আর কোন জ্বালাভাব থাকবে না।