রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক দফতরের হাল এমনিতেই বেশ অভিযোগ পূর্ন। একদিকে রাজ্যের সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল পিজি হয়ে উঠেছে ইডি বা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া শাষক দলের দূর্নীতি গ্রস্থ নেতা ও সহযোগীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এর আগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক।
প্রসুতির মৃত্যু রাজ্যে নতুন কিছু নয়। তবে সংখ্যাটা ক্রমশই বাড়তে চলেছে। বাংলায় প্রায়শই ঘটছে প্রসুতির মৃত্যু। বার বার উঠছে অভিযোগ নার্সিংহোম বা হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কিন্তু এর সমাধান কোথায়? রাজ্যের প্রসুতি মৃত্যুর দায় কার? এরকমই প্রশ্ন উঠে আসছে।
বুধবার সকাল আনুমানিক ৯:৩০ নাগাদ নার্সিংহোমে ভর্তি হন গর্ভবতী মহিলা। বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ শিশুকন্যা জন্ম দেন ওই মহিলা। অপারেশনের পর গর্ভবতী মহিলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা কিংবা নার্সেরা কোনও ভাবেই পরিবারে কথা শোনে না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করে। বুধবার সন্ধ্যায় গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়। নার্সিংহোমের তরফ মৃত্যুর খবর দেয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। এমনকি রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেনি। সদ্যোজাত শিশুকন্যা সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুরে।স্বরূপনগর থানার উত্তর কাচদহ এলাকার বাসিন্দা জাহির আব্বাস মন্ডলের স্ত্রী মোমিনা বিবি, বয়স আনুমানিক ২৫ বছর।
সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর কথা পরিবারের লোকেরা শোনার পর নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নার্সিংহোমের সামনে। ঘটনাকে সামাল দিতে গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।