ঘটনা টি মধ্য প্রদেশের, জবল পুরের । দম্পতী দুজনেই কর্মরত হওয়ার কারণে , তাদের ২ বছরের সন্তান কে দেখাশোণা করার জন্য মাসিক ৮০০০ টাকা বেতন ও আহার এই চুক্তি তে রজনী চৌধুরি নামে এক আয়া কে নিয়োগ করেন । প্রথম দিকে সব কিছু ঠীক ঠাক ছিল কিন্তু কিছুদিন পরেই দম্পতি খেয়াল করেন তাদের বাচ্ছা টি ক্রমশ অসুস্থ ও ঝিমিয়ে পড়ছে। এর পরেই তারা শিশু টীকে নিয়ে একজন শিশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেই বাচ্চাটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের দাগ ও ফোলা ভাব দেখতে পান । তখনই দম্পতীর মনে সন্দেহ হয় এবং তারা বাড়ীতে একটি ক্লোজ সার্কিট কামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। যাতে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই কাজে বেরিয়ে গেলে বাড়ীতে ঘটা সব কিছুই ক্যামেরা বন্দী হয়।
এর পরেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাতেই ধরা পরে একটি শিহরণ জাগানো ভিডিও দৃশ্য । রজনী , দম্পতি বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাবার পর থেকেই তাদের বাচ্ছা টির ওপর শারীরিক অত্যাচার করতো । এই ভিডিও হাতে পাবার পরেই দম্পতি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে গোটা বিষয় টি তাদের নজরে আনতেই পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে রজনী চৌধুরি কে ।