আগেকার দিনে কথিত ছিল “সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে”। অর্থাৎ একটি রমণী যত লক্ষীমন্ত এবং সংসারী হবে তবেই সংসারে সুখ আসে। সেটি ছিল সেকেলে বিচার কিন্তু এখন যুগ পাল্টেছে, বদলেছে সময়। এখনকার দিনে নারী পুরুষ সমান। ছেলেদের থেকে মেয়েরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
তারাও সমস্ত রকম পেশায় নিযুক্ত হচ্ছেন ও যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং উপার্জনও করছেন। সুতরাং এখন আর এই প্রবাদটি যুক্তি যুক্ত নয় বললেই চলে। কিন্তু এখন বরং অন্য একটি প্রবাদ এসেছে, সেটি হলো “সংসারে সুখ আসে বরের মোটা ইনকাম-এ”। অর্থাৎ যে পুরুষের রোজগার যত বেশি তার সংসারে সুখ তত বেশি।
বিষয়টি শুনে একটু হাস্যকর মনে হলেও এটি সত্যি এবং প্রমাণিত।
সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, সংসার টিকে থাকে মূলতঃ পুরুষের রোজগারের ওপর। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসার টিকে থাকার পেছনে পুরুষের রোজগার এবং তিনি কোন ধরনের চাকরি করেন ও মাসে কত উপার্জন করেন সেটিই বেশি প্রাধান্য পায়। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আলেকজান্দ্রা কিলোওয়াল্ড। তিনি ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৩০০ দম্পতির তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। একজন পুরুষ দেখতে যতই সুন্দর কিংবা স্মার্ট হোক না কেন একজন নারী প্রেম করার আগে অবশ্যই তার চাকরির ধরনকে তার যোগ্যতা বিবেচনা করবে।
অন্যদিকে, নারীর কর্মজীবন তার ব্যক্তিগত জীবনে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। তাদের রোজগার অল্প হলেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার আশঙ্কা থাকে খুবই কম। বর্তমানে অনেক নারী ঘর ও অফিস দু’টোই সমানতালে সামলাচ্ছেন। সুতরাং বলাই যায় কলিযুগে প্রবাদের পরিবর্তন ঘটেছে ও গড়ে উঠেছে একটি নতুন মানসিকতার সমাজ।