পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ কথায় বলে বাঙালি খাদ্যরসিক, আর খেতে ভালবাসলে বাঙালিকে তো রন্ধনপ্রিয় হতেই হবে। ভালো করে রান্না করে লোকজনকে খাওয়াতে ভালোবাসে এমন মানুষের অভাব নেই। সেকাল থেকে একাল সব সময়ই রান্না বাঙালির পছন্দের কাজ। খাবারে পরিবর্তন না আসলেও পরিবর্তন এসেছে বাঙালির রান্নাঘরে। এখন মডিউলার কিচেন এর যুগ। সেখানে আগের মত নিচে বসে বটিতে সবজি কাঁটা আর হয় না, এখন সবজি কাঁটা হয় ছুরি দিয়ে। ছুরির সাথে সাথে রান্না ঘরে প্রবেশ করেছে চপিং বোর্ড। কিন্তু এই চপিং বোর্ড থেকেই ছড়িয়ে পড়ে নানা ধরণের অসুখ।
এই চপিং বোর্ডে সবজি কাঁটা খুব সহজ এবং দ্রুত। তাই এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন এই চপিং বোর্ড। কিন্তু সঠিক ব্যবহার না জানলে তার থেকে তৈরি হতে পারে নানান শারীরিক অসুস্থতা। অনেকেই চপিং বোর্ড ব্যবহারের পর না ধুয়েই রেখে দেন। এতে বোর্ডে লেগে থাকা মাছ মাংস বা শাক সবজি টুকরোয় পচন ধরে এক ধরণের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। সেই বোর্ডে কাঁটা উপকরণ দিয়ে তৈরি খাবার খেলে হতে পারে পেটের সমস্যা। এছাড়া সেই খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভয়ঙ্কর বিষ। অনেকে আবার চপিং বোর্ড ধুয়ে কাপড় দিয়ে মুছে রাখেন। সেটাও খুব ক্ষতিকর। এতে কাপড়ের টুকরো বোর্ডে ফেসে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে তা শাক সবজির গায়ে লেগে যায়।
তাই ব্যবহারের পর চপিং বোর্ড খুব ভালো ভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। তারপর তা কোথাও লম্বালম্বি ভাবে রেখে দিয়ে হবে যাতে সব জল ঝড়ে যায়। বোর্ডে জল জমাও ক্ষতিকর বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ইদানিং আবার প্লাস্টিক ব্যবহারের চল দেখা দিয়েছে। প্লাস্টিকের চপিং বোর্ড ব্যবহার না করাই ভালো। প্লাস্টিক শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিকের চপিং বোর্ডে স্যালাদ কাটলে তা খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। তাই দাম একটু বেশি হলেও কাঠের চপিং বোর্ড ব্যবহার করা উচিত।
চপিং বোর্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও কিছু সচেতনতা মাথায় রাখা উচিত। সবজি এবং মাছ – মাংসের জন্য আলাদা চপিং বোর্ড ব্যব্হার করা প্রয়োজন। অনেক দিন ধরে এক বোর্ড ব্যবহার করা উচিত নয়। যখনই দেখা যাবে ছুরির আঘাতের ফলে বোর্ডটি নষ্ট হতে শুরু হয়েছে তখনই বোর্ডটা পাল্টে ফেলা প্রয়োজন।