২৮ বছর আগে , যখন কলকাতায় নতুন করে রেডিও ফিরল সেই তখন থেকেই বাংলার প্রতিটি মানুষের সাথে একটা অদ্ভুত আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছিলেন এই মানুষটি। প্রত্যেকদিন সকালে যার আওয়াজে সকালের তরতাজা অনুভুতি নিয়ে কলকাতা বাসী দিন শুরু করতো সেই মানুষ টি কে নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছিল The সকাল Man
পথ চলা শুরু হয়েছিল আকাশবাণী থেকেই । পরবর্তী কালে চলে আসেন একটি বেসরকারি রেডিও চ্যানেলে । তার গলার স্বর শুধু প্রতিটি বাড়ির রেডিও তেই নয় এবার রাস্তার প্রায় প্রতিটি যান বাহনে শোনা যেতে লাগলো আর তার সাথে মোবাইল ফোনেও রেডিওর সুযোগ থাকায় প্রায় বাংলার প্রতিটি মানুষ তাদের সকাল শুরু করতেন এই সকাল ম্যানের সাথে। সকাল ম্যান ছাড়া এই রেডিও চ্যানেলের অস্তিত্ব কিছুই ছিলনা সে কথা এই রেডিও চ্যানেলের প্রতিটি কর্মীই জানতেন। কারন তিনি শুধু বাংলার মানুষ কে তার কথায় মনোরঞ্জন করেননি তার সাথে নতুন সহকর্মী দের শিখিয়েছেন কথা বলার নানান আদপ-কায়দা যাতে বাংলার মানুষ আকৃষ্ট হন, আনান্দিত হন।
সকাল ম্যান শুধু বাংলার সাধারন মানুষেরই না , তথাকথিত বহু সেলিব্রেটি রেডিও সকাল ম্যানের সাথে দিন শুরু করতেন । সকাল ম্যান শুধুমাত্র রেডিও তেই নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখেননি। বেশ কিছু বাংলা চলচিত্রে অভিনয় করে এবং তার সাথে টেলিভিশনের পর্দায় একটি মজার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ কে হাসতে শিখিয়েছেন। তার সাথে প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ করে দিয়েছেন বহু নবাগত কৌতুক শিল্পিদেরও।
কিন্তু কোনদিন রেডিও থেকে নিজেকে একদিনের জন্যও সরিয়ে রাখেননি । কিন্তু এবার হঠাত করেই রেডিও কে বিদায় জানালেন। সকাল ম্যানের কণ্ঠ আর শুনতে পাওয়া যাবে না জেনে বাংলার বহু শ্রোতার মন ভেঙ্গে গিয়েছিল। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ছিল এবার তাহলে কি করবেন সকাল ম্যান।
মুখ খুললেন ২১ দিন পর। জানালেন, যে কোন অভ্যাস তৈরি করতে বা ত্যাগ করতে সময় লাগে ২১ দিন । এতদিনের অভ্যাস ত্যাগ করে থাকা অর্থাৎ রেডিও কে ছেড়ে থাকা তার কাছে ছিল অনেক টাই জল ছাড়া জীবনের মত। এই ২১ দিন ধরেই তিনি সিধান্ত নিয়েছেন এর পরবর্তী কাজ তিনি কি করবেন। আজ তিনি তার সামাজিক মাধ্যমে জানালেন ঠিক ৫ বছর আগে কোন স্পন্সর ছাড়াই যে ভাবে তিনি ইউটিউবে Foodka শুরু করেছিলেন ঠিক সেই ভাবেই এবার তিনি তার নিজের ব্যান্ড – ব্যান্ডেজ কে নিয়ে ইউটিউবে ফিরছেন খুব তাড়াতাড়ি। তাকে শোনার সাথে সাথে বাঙলার মানুষ তাকে দেখতেও পারবেন।