শোভন মল্লিক , কলকাতা: গত বুধবার এক ২৫ বছর বয়সী তরুণীকে মর্মান্তিক ভাবে হত্যা করবার পর ধর্ষণ করবার অভিযোগে মামলা চলছিল হাইকোর্টে। খুনের পর সেই নারীকে যৌন হেনস্তার কোনো অভিযোগ পড়েনি অভিযুক্তের গায়ে। শুধুমাত্র খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে অভিযুক্তকে । ধর্ষণের সাজা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে তাকে ।
কর্ণাটক হাইকোর্টের দাবি, মরদেহের উপর যৌন নিপীড়নকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা (অস্বাভাবিক যৌনাচার) দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ এই নিয়ে কোনরকম আইন নেই ভারতবর্ষে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিন্তা ভাবনা করবার কথা বলে কর্ণাটক হাইকোর্ট। সঙ্গে গত ছয় মাসের মধ্যে প্রতিটা মর্গের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
অনেক সময় দেখা যায় সরকারি এবং বেসরকারি মর্গের বিভিন্ন নিরাপত্তা রক্ষীরা অনেক সময়ই বিভিন্ন সময় মরদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে । সেই হেতু ধরা পড়বার কারণে তাদের জেলে আটকও করা হয় । কিন্তু এটি যে কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । ‘নেক্রোফিলিয়া’ নামক একটি রোগের কারণেই এমন কাজ করে থাকে সেই সকল মানুষেরা । এই দেশে এই রোগকে কোনভাবেই অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয় না। কর্ণাটক হাইকোর্ট এই ‘নেক্রোফিলিয়া’ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে ভারতীয় দণ্ডবিধি সংশোধনের জন্য সুপারিশ করেছেন।
তাই নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেন বিচারপতি ভি বিরাপ্পা এবং বিচারপতি নায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ । ইংল্যান্ড, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে এই আইনের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে এমন ধরনের ঘটনা অপরাধ বলেই গণ্য করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ভারতে মরদেহের সম্মানহানিকে কোনভাবেই অপরাধ হলে ধরা হয় না। তাই খুব শীঘ্রই এই আইন প্রণয়নের কথা বারংবার বলেছেন কর্ণাটক আদালত ।