ঝাড় খণ্ডের কিছু এলাকায় অসুর দের দেখা মেলে । উত্তর বঙ্গের চা-বাগান এলাকা গুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন এই বিলুপ্ত প্রায় জনজাতি। গোটা পৃথিবী বাসী যখন পুজোর আমেজ গায়ে মাখতে আর দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকেন, তখন বাংলারই উত্তর অংশের একটা জনগোষ্ঠী দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি থেকে আড়াল করে রাখেন নিজেদের ।
শুধু আড়াল রাখেন তাই না , মা দুর্গার মুখ যাতে না দেখতে হয় তাই গোটা বাড়ি কে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন পুজোর কটা দিন । তাঁদের বিশ্বাস, মহিষাসুর তাঁদের পূর্বপুরুষ। যেহেতু দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে হত্যা করেছেন, তাই তাঁরা দেবীর মুখদর্শন করেন না। এটাই রীতি। বরং তাঁরা মহিষাসুরকেই তাদের আরাধ্য দেব হিসাবে আরাধনা করে থাকেন ।
তবে এখন সেই ধ্যান ধারনা বদলেছে । এখন তারা অনেক টাই খোলামেলা ভাবে সমাজের অনান্য মানুষের সাথে মেলামেশা করেন । বর্তমানে এদের জনসংখ্যা দ্রুত কমছে যা এই মুহূর্তে ৫০০০ এ এসে দাঁড়িয়েছে । তাঁরা বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করেন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং দার্জিলিং জেলার চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায়। ছোটনাগপুরের মালভূমি অঞ্চল, গুলমা ও লোহারডাঙ্গা জেলায় এদের বসবাস।
এই অসুর সম্প্রদায় কিন্তু হিন্দুই। তবু এই নিয়ম ও রীতি যুগযুগান্তর থেকে পালন করে আসছেন তাঁরা। যদিও গত কিছু বছরে নিয়ম-কানুনের পাট অনেকটাই শিথিল হয়েছে। তাই এদের নব প্রজন্ম দুর্গা পুজোয় সামিল হন। এছারাও সময়ের সাথে সাথে অনেকেই ধর্ম পরিবর্তনে বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান হয়ে জাওয়ায় সমাজের অনান্য আনন্দ উতসবেও সামিল হন তারা ।