কোলকাতা শহরতলীর অলিগলিতে বিগত বেশ কিছু বছরে গজিয়ে উঠেছিল এই হুক্কাবার। যা ভীষন রকম জনপ্রিয় হয়েছিল যুব সমাজের কাছে। এই হুক্কাবারের প্রধান গ্রাহক হয়ে উঠেছে প্রধানত অভিজাত স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
কি এই হুক্কা? পুরাতন আমলে যখন সিগারেট ততটা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি বা সকলের কাছে সহজ লভ্য হয়ে ওঠেনি তখন প্রবীন ব্যাক্তিরা হুকো বা গড়গড়া দিয়ে তামাক সেবন করতেন। যা বহু চলচ্চিত্রে ও মনিষীদের জীবনিতে উল্লেখিত আছে। কিন্তু কালক্রমে সেই হুকো হারিয়ে গিয়েছিল। অবাক করা বিষয় হলো এই স্বদেশী হুকোই আবার ফিরে এলো পাশ্চাত্য সংস্কৃতির হাত ধরে। শুধু পরিবর্তন হয়েছে তার আকার, শৌখিন ও রঙবেরঙের।
যদিও প্রচার হয় এই হুক্কায় কোন নেশা হয়না তা একেবারেই ভূল তথ্য। এখানে নানান ধরনের ফ্লেভারের ( মিঠা পান, চকোলেট, কোকাকোলা, সহ প্রায় সহস্রাধিক ) তামাকের মিশ্রনের উপর জলন্ত টিকা জ্বালিয়ে, তা দন্ডায়মান সরু ধাতব পাইপের মাধ্যমে নিচে গিয়ে জলের(পরিবর্তন করে যে কোন তরল ব্যবহার করা যায় ) মাধ্যমে তা ফিল্টার করে সেবন করা হয়ে থাকে। হুক্কাবার গুলিতে এই হুক্কা পরিবেশন হয় 300 থেকে 1000 টাকায়। যা আদপে একজনের জন্য তৈরী করে পরিবেশ করতে খরচ পড়ে 20 থেকে 100 টাকা। ফলত লাভের অঙ্কটি বেশ ভালো রকম।
সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে এই হুক্কা বার গুলিকে বন্ধ করার জন্য বা নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রষাশন। সেই নিষেধাজ্ঞা কেই খারিজ করলো আজ কোলকাতা হাই কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার আজ এই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে বলেন – কোলকাতা ও বিধান নগরের কোন জায়গাতেই হুক্কাবার বন্ধ করা যাবে না। এই হুক্কাবার বন্ধ করার জন্য রাজ্যে কোন শংশ্লিষ্ট আইন এখনো নেই। যে আইন রয়েছে তা কেন্দ্রীয় আইন যা বন্ধ করার কোন আইন রাজ্যের নেই। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশের অনান্য রাজ্যের বন্ধ হওয়া হুক্কা বার গুলিও নতুন করে চালু হয়েছে। তবে হুক্কাবার গুলিতে অন্য কোন নিষিদ্ধ মাদক ব্যাবহার হচ্ছে কিনা সে দিকে নজর রাখতে পুলিশ ও প্রষাশন কে নির্দেশ দিয়েছেন, বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।