মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। রাজনীতি দূরে সরিয়ে হিংসায় জর্জরিত মণিপুরে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বহু রাজ্য। মণিপুরে ভয়াবহ হিংসার ঘটনায় এখনও অবধি ৫৪ জন নিহত হয়েছে বলে খবর। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা রাজ্যজুড়ে টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা থেকে শুরু করে আসাম রাইফেলস, সিআরপিএফ। বন্দুক উঁচিয়ে, মণিপুরের রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি করে একের পর এক সেনার কনভয়কে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। থমথমে হয়ে রয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি।
যদিও পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক জায়গায় দোকানপাট ও বাজার খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় গাড়িও চলতে শুরু করেছে। মণিপুরের চুড়াচাঁদপুর জেলায় জারি করা কারফিউ রবিবার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে, যাতে মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে। রাজ্যের কোণে কোণে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের জওয়ানরা।
এদিকে মণিপুরের এহেন অবস্থার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং-কেই দায়ী করেছেন সকলে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যেরই মানুষ। শনিবার রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি সর্বদলীয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে বিরেন সিং রাজ্যে শান্তির আবেদন করেন এবং সমস্ত নাগরিককে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান যা আরও হিংসার কারণ হয়ে উঠতে পারে। মণিপুরের বিজেপি বিধায়ক ডিঙ্গাংলুং গাংমেই মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির (এসটি) মর্যাদা দেওয়ার হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন।