বেস কিছুদিন ধরেই বর্তমান রাজ্য সরকারের ওপর একের পর এক ধাক্কা আসছে । ২২শে জুলাই থেকেই শুরু হয়েছে ইডি ও সি বি আই এর যৌথ অভিযান। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাথে বিপুল পরিমাণে , হিসাব বহির্ভূত নগদ টাকা ও সোনা রাখার দায়ে তার পরিচিতা অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
এর পরেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা গরু , বালি ও কয়লা পাচার অভিযোগে গ্রেফতার করে বোলপুরের বিখ্যাত তৃণমূল নেতা অণূব্রত মণ্ডল কে , পরবর্তী কালে তাকে এবং তার কন্যা কেও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় জড়ানো হয়।
এছাড়াও রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীর একধিক নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধির উৎস খুঁজে দেখার নির্দেশ ও দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
আজ রাজ্য সরকার, নতুন করে আরও একটি ধাক্কা খেল কলকাতা হাই কোর্ট থেকে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃতীয়বার সরকার গঠনের পরেই , করোনা আবহে সাধারন মানুষের সুবিধার্থে ”দুয়ারে রেশন” প্রকল্প ঘোষণা করেন। যাতে মানুষ কে মহামারীর মধ্যে কষ্ট করে রেশন দোকান না যেতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী বলে আদালতে জানান ডিলাররা। কিন্তু সেই সময়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ডিলারদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
এর পরেই রেশন ডিলারস এসোসিয়েশন এর সভাপতি বিস্ম্ভর বসু , তারপর ফের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। সেই মামলাতেই এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি চিত্তরঞ্জন সাউয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন দুয়ারে রেশনকে বেআইনি বলে রায় দিয়েছে। যা রাজ্যের জন বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে।
মামলাকারী শেখ আবদুল মাজি বলেন রাজ্য সরকার জোর করে এই প্রকল্প চালাচ্ছিল। কখনও ডিলারদের ভয় দেখিয়ে, জরিমানা করে দুয়ারে রেশন চালাচ্ছিল রাজ্য সরকার। এদিন প্রকল্পটাকেই বেআইনি ঘোষণা করেছে আদালত।’ বহু জায়গায় এই প্রকল্প সে ভাবে শুরুও করা যায়নি। তবে যেসমস্ত জায়গায় তা শুরু হয়েছিল, সেখানেও বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।