The Indian Chronicles Exclusive : প্রেত গবেষণা আজ নতুন কিছু নয়। ভারতে গৌরব তিওয়ারি, বিমান চালকের চাকরি ছেড়ে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে প্রেত গবেষণা শুরু করেন এবং তার পর থেকেই “প্রেত গবেষণা”-র মাধ্যমে প্রেত জগৎ সম্পর্কে আমরা বিষদভাবে জানতে শুরু করি।

বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম গুলিতে সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় বস্তু হয়ে উঠেছে এই ভৌতিক বিষয় আর সেখানেও আসতে শুরু করছেন বেশ ভন্ড প্রেত গবেষক। যাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের কে “অন্ধকারের রাজা” বলে মনে করেন। বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে তদন্তের কথা মুখে বলেও “শয়তানের দেবতা কে রক্ত উৎসর্গ” করার কথা বলতে পরেন। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিয়েলিটি শোয়ের ট্রফি এদের কাছে জনগণ কে মূর্খ বানানোর অন্যতম হাতিয়ার।
এদের তৈরী প্রেত গবেষণা বা তদন্তের ভিডিও দেখলেই বোঝা যায় সেখানেও কত চুরি করা বিদেশী ছবি বা ফুটেজ রয়েছে।
অন্যের তদন্ত কে নিজেরদের বলে চালিয়ে নেটিজেন দের বোকা বানাতে তাঁরা সিদ্ধ হস্ত।



তবে এবার বাংলার তিন বিখ্যাত প্রেত গবেষক, ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত ( হেড ইভিপি গবেষক ) তন্ময় দাস ( লিড ইনভেস্টিগেটর, SODOT ) ও অনিন্দ্যম ঘোষাল ( হেড, টেকনিকাল গ্যাজেট ) একত্রে এক নতুন অভিযান শুরু করছেন। খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা ভারতের এক ভয়ঙ্কর তম একটি পরিত্যাক্ত জায়গায় তদন্ত করতে যাচ্ছেন যে জায়গাটিতে দিবালোকেও কেউ যেতে চায়না। শোনাযায় এখানে আজ অবধি যারা গেছেন তাঁরা কেউ বেঁচে ফেরেননি বা তাঁদের লাশও পাওয়া যায়নি। আমরা ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি আমাদের জানান এখুনি সেই জায়গার নাম তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে চান না। তবে ভানগড় ফোর্ট, কুলধারা গ্রাম বা ডাও হিল একেবারেই নয়। এই জায়গার তদন্ত শেষ হলে প্রেত গবেষণা দুনিয়ায় এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরী হবে যা আগে কখনো কেউ করেনি। ভন্ড প্রেত গবেষক দের মুখোশ খুলে দেবার জন্যই “এই তিন গবেষক” এবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে একত্রে তদন্ত করবেন বলেই জানালেন।

খুব তাড়াতাড়ি এই তিন প্রেত গবেষক সেই ভয়ঙ্করতম স্থানে যাবেন এবং সেখানে রাত্রি যাপনের সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক উপকরণ ও যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁরা জানবেন আদৌ সেই জায়গাটি ভৌতিক নাকি সবটাই কিছু মানুষের অপপ্রচার।