নয়াদিল্লি, ৯ মে ২০২৫:
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসা সাম্প্রতিক এক বার্তায় উঠে এসেছে এক তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক বার্তা—যদি পাকিস্তান মাসুদ আজহার ও হাফিজ সঈদের মতো মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে এগোতে পারে এবং অতীতের কিছু তিক্ততা ভুলতেও প্রস্তুত।

এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক উত্তপ্ত রয়েছে মূলত সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে—“সন্ত্রাসবাদ ও শান্তি একসঙ্গে চলতে পারে না”, তবে এবার তারা একটি সম্ভাবনার জানালা খুলে রাখলো।
ভারতের বার্তা কী বলছে?
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ভারত চায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক। কিন্তু সেটা কেবল সম্ভব যদি পাকিস্তান প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আন্তরিকতা দেখায়। মাসুদ আজহার ও হাফিজ সঈদের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।”

কে এই মাসুদ আজহার ও হাফিজ সঈদ?
মাসুদ আজহার: জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর প্রতিষ্ঠাতা, যার বিরুদ্ধে পুলওয়ামা হামলা সহ একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।
হাফিজ সঈদ: লস্কর-ই-তইবা প্রধান, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
এই বার্তার পরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত আমেরিকা ও জাতিসংঘ, ভারতের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করছে, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ, এবং ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন হলে উপমহাদেশে শান্তির নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
এখনও পর্যন্ত ইসলামাবাদ এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান যদি সত্যিই আঞ্চলিক শান্তি চায়, তবে এই মুহূর্তে ভারতকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
ভারতের এই অবস্থান একদিকে যেমন বাস্তববাদী, অন্যদিকে তা কূটনৈতিক কৌশলের নিদর্শন। প্রশ্ন একটাই—পাকিস্তান কি এবার সাহসিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সত্যিই বন্ধুত্বের পথে হাঁটবে?