প্রিজ়ন ভ্যান থেকে আগেও তিনি বলেছেন তিনি নাকি ‘নিরপরাধ’। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে হাজির করানোর সময় ধৃত সৌরভ চৌধুরি দাবি, তিনি অপরাধী নন। তাঁকে ‘অপরাধী’ সাজানো হয়েছে। গতকাল আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়
যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University Student Death) ধৃত সৌরভ চৌধুরি, দীপশেখর দত্ত ও মনোতোষ ঘোষকে। এদিনই তাঁদের পুলিশি হেফাজত শেষ হয়। আদালতে প্রবেশ করানোর সময়ই প্রিজ়ন ভ্যান তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান,’‘আমি অপরাধী নই। অপরাধী সাজানো হয়েছে আমাকে।’’ যদিও বাকি দুই অভিযুক্ত দীপশেখর ও মনোতোষ এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি।
ইতিপূর্বে, যাদবপুরকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জানান, ৯ই আগস্ট নাকি র্যাগিংযের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। মৃত ওই পড়ুয়া নিজেই হস্টেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এই প্রথম যাদবপুরকান্ডে কোনও অভিযুক্ত প্রকাশ্যে অভিযোগ খারিজ করেন। রবিবার আলিপুর আদালত থেকেই প্রিজ়ন ভ্যানে করে কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পুলিশি হেফাজতে। প্রিজ়ন ভ্যান থেকেই সৌরভ তোলেন ‘গরীব তত্ব’। সৌরভ দাবি করেন, তাঁরা গরিব বলে ফাঁসানো হচ্ছে। র্যাগিং আদপেও হয়নি। বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ওই ছাত্র। এটুকুই তিনি দেখেছেন। বাকিটা তদন্ত করবে পুলিশ। তাঁর কথায়, ‘‘মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ মিথ্যা। জিবি কী কারণে হয়েছে, আমি জানি না। আমরা কোনও অপরাধী নই। আমরা ন্যায্য বিচার চাই।’’
বস্তুত, যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুতে ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। কি রয়েছে এই তথ্যে? তা কি তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে? পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য তদন্তে সাহায্য করবে। ধৃতদের বয়ানের সঙ্গেও এই তথ্য মিলিয়ে দেখতে তৎপর পুলিশ।