কলকাতা, ১৭ এপ্রিল:
রাজ্যজুড়ে আলোড়ন তোলা আরজী কর মেডিকেল কলেজের ছাত্র আন্দোলন ঘিরে এবার উঠে এলো নতুন এক বিতর্ক। খোদ বিশিষ্ট পরিচালক ও অভিনেতা অরিন্দম শীল এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে দাবি করেছেন, “কিছু টলিউড সেলেব্রিটি” এই আন্দোলনে সংহতি জানাতে গিয়ে ‘চেহারা ফি’ নিয়েছেন! অর্থাৎ, তারা নিজেদের উপস্থিতির জন্য অর্থ গ্রহণ করেছেন—যা নিঃসন্দেহে এই আন্দোলনের স্বচ্ছতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

অরিন্দম শীলের মন্তব্যে কী ছিল?
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরিন্দম শীল বলেন,
“যারা ক্যামেরার সামনে এসে ‘আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম’ বলছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে এসেছেন। যারা নিঃস্বার্থভাবে এসেছেন, তারা নিশ্চয়ই আলাদা। তবে কিছু মানুষ চেহারা ফি নিয়েছেন, এটা জানি বলেই বলছি।”
এই মন্তব্য সামনে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। দর্শক ও আন্দোলনপন্থী অনেকেই অরিন্দম শীলের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, এর প্রমাণ ছাড়া এমন মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন।

টলিউডে নয়া বিতর্ক: কে নিলেন এই ফি?
অরিন্দম শীল কারও নাম সরাসরি নেননি। তবে তার মন্তব্যে যে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ফাটল ধরেছে, তা বলাই বাহুল্য। গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক তারকা—অপরাজিতা আঢ্য, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ—আরজী কর আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কেউ মিছিল করেছেন, কেউ স্টুডেন্টদের সঙ্গে বসেছেন, কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন জোরালো বার্তা।
তবে কারা অর্থ নিয়েছেন আর কারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, সেই তালিকা এখনও অজানা।
শিল্পীদের দায়িত্ব ও জনমতের গুরুত্ব
এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—জনতার পাশে দাঁড়ানোর নামে কেউ যদি অর্থ গ্রহণ করেন, তবে সেটা নৈতিকতার কোন জায়গায় পড়ে? একজন শিল্পী বা সেলেব্রিটি যখন কোনও সামাজিক আন্দোলনে অংশ নেন, তখন সেটি অনেক সময় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে বড় ভূমিকা রাখে। তাই, তাঁদের ভূমিকা যেন দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতার সঙ্গেই নির্ধারিত হয়—এই দাবি এখন সর্বত্র।
উপসংহার:
অরিন্দম শীলের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে টলিউডে নতুন এক আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে। আসল সত্য কী? কারা নিয়েছেন ‘চেহারা ফি’? নাকি সবটাই শুধুই গুজব? উত্তর সময়ই দেবে, তবে এর মধ্যেই জনসচেতনতার আলো জ্বলছে আরও উজ্জ্বলভাবে।