বীরভূম নাম টা শুনলেই এক সময় সবার আগেই যার নাম আমাদের মনে পড়তো তিনি হলেন রাজ্যের শাষকদল তৃনমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। দৌরদন্ড প্রতাপ এই জেলা স্তরের নেতার দাপটে এক সময় বীরভূমের গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ার সাহস রাখতো না। মন্ত্রী না হয়েও যার ক্ষমতা ছিল অপরিসীম। প্রকাশ্য দিবা লোকে সাংবাদিক দের সামনে পুলিশ সুপার কে ধমক দেওয়া থেকে প্রকাশ্য জনসভায় দলীয় কর্মীদের পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করার হুকুম জারি করাতেই তার রাজনৈতিক খ্যাতি ছিল গগনচুম্বি।
এছাড়াও তার নানা ধরনের উক্তি যাকে বলা যেতে পারে প্রছন্ন ধমকী ছিল বিখ্যাত। ভোটের সময় বিরোধী দলের কর্মী সমর্থক থেকে ভোট প্রাথীদের “বাড়ি গিয়ে সোহাগ করা” “জল বাতাসা দেওয়া” বা “নকুলদানা গুড় বাতাসা দেওয়া ” “চড়াম চড়াম” ইত্যাদি ছিল ভীষন রকমের বিখ্যাত। বিরোধী দলকে প্রায় নিশ্চুপ করেই রাখতেন। মন্ত্রী না হয়েই প্রায় গোটা বীরভূম জেলা কে কিনেই ফেলেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে অনুব্রত বিষয়ে নালিশ গেলেও “মাথায় ঠিক মতো অক্সিজেন যায় না” বলেই নজর আন্দাজ করে দিতেন সর্বদা।আজ এই অনুব্রত গড় বীরভূম অনুব্রত হীন। গরু পাচার ও আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে কন্যা সহ অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বিচারাধীন হয়ে আছেন।
আর আজ এই অনুব্রত গড়েই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এবং আগামী ২৯শে নভেম্বর কলকাতা চলো কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বিজেপির তরফে এক পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হলো রামপুরহাটে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বহু দলীয় নেতা কর্মী এই পদযাত্রায় অংশ নেন। দলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, শ্যামাপদ মন্ডল সহ আরো অনেকে। এদিন প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের নিয়োগ দুর্নীতি,পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা অভাব সহ একাধিক অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা