আশা ভোসলে এই নাম টাই যথেষ্ট সঙ্গীত জগতে । দিদি লতা মঙ্গেস্কারের পরে সঙ্গীত জগতে তিনিই অন্যতম জীবিত কিংবদন্তী । ঈশ্বরসম এই সঙ্গীত শিল্পী বর্তমানে বয়স ৯২ হলেও সঙ্গিতের প্রতি টান আজও সেই শুরু দিকের মতই রয়ে গেছে । যদিও বেশ কিছুদিন তিনি প্লেব্যাক থেকে বিরত ছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি তাঁর বড় দিদি তথা ভারতীয় সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা জীর প্রয়াণের পর থেকেই নিজেকে শক্ত রাখতে আবারও সঙ্গীত জগতে ফিরলেন আশা ভোসলে। বলা বাহুল্য যে তিনি সব গান কেই প্রাধান্য দিচ্ছেন না । খুব বাছাই করা কিছু গান তিনি প্লেব্যাক করলেন। ফিরিয়ে দিচ্ছেন কলকাতা তথা মুম্বাইয়ের বহু নামি দামি মিউজিক কম্পোজারের অনুরোধ। এমনকি ফিরিয়ে দিচ্ছেন বহু নামী রাজনৈতিক ব্যাক্তির প্রার্থনা।দিদি লতা মঙ্গেস্কারের প্রয়াণের পর তিনি তাঁকে নিয়েও বিশেষ মুখ খুলছেন না। সঙ্গীতের মধ্যেই নিজেকে শেষ বারের মত ডুবিয়ে রাখতে চাইছেন এই কিংবদন্তী।
অন্যদিকে, চিত্র পরিচালক সৌমেন দাস তার নতুন চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন নতুন গান রেকর্ডিং নিয়ে। ঠিক সেই সময়েই কলকাতার অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক মনোজিত গোস্বামী যোগাযোগ করেন সৌমেন বাবুর সাথে। একটি গান তিনি জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পি কে দিয়ে রেকর্ডিং করাতে চান এই প্রস্তাব নিয়ে। সৌমেন বাবুও সাথে সাথেই রাজি হয়ে দ্রুত মুম্বাই রওনা হন। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির পঞ্চম স্টুডিও তে ৩০শে মার্চ সকাল ঠিক ১২ টায় রেকর্ডিং স্টুডিওর সামনে এসে দাঁড়ায় একটি স্টিল গ্রে রঙের মার্সিডিজ। সাথে সাথেই ছুটে যান স্টুডিও ম্যানেজার বিপ্লব, গাড়ীর দরজা খুলে আস্তে করে পা ফেলেন জীবন্ত কিংবদন্তী । তারপর আস্তে আস্তে হেটে প্রবেশ করেন স্টুডিও তে। সৌমেন বাবু জানান এসব কিছুই তখন জেন স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিল। গাড়ী থেকে নেমে রেকর্ডিং স্টুডিও তে রেকর্ডিং করে আবারও গাড়ী তে উঠে ফিরে জাওয়া এয়াই সমস্ত টাই নিজের মোবাইলে ভিডিও আকারে ধারন করে রেখেছেন সৌমেন বাবুর একমাত্র সন্তান সায়াহ্ন । আশা জী গাইলেন সৌমেন বাবুর পরিচলানায় আবার পরশ পাথর চলচ্চিত্রের জন্য – পৃথিবীতে এই আছি এই আমি নেই , কেউ কি রাখবে মনে এই আমাকে । গানের কথা ও সুর দুটিই সৃষ্টি করেছেন সঙ্গীত পরিচালক মনোজিত গোস্বামী। যদিও সঙ্গীত পরিচালক মনোজিত গোস্বামীর কথায় – এই ধরনের গান চট করে কোন সঙ্গীত শিল্পি গাইতে চান না। কারন কিশোর কুমারের চির বিদায় চাইতে এলাম গানটি রেকর্ডিং এর পরেই তিনি প্রয়াত হন বলে একটি মিথ হয়ে আছে । তবুও গানের কথা ও সুর আশাজীর খুব পছন্দ বলেই গাইতে রাজীহন এবং খুব গোপনীয়তার সাথে রেকর্ডিং সেরে ফেলা হয়।রেকর্ডিং এর সময় বার বার আশা জী – আর ডি বর্মণ কে মনে করছিলেন আর তার মজার কথা শোনাচ্ছিলেন। এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভুতি ছিল সৌমেন বাবুর কাছে।
আপাতত গান টির ফাইন টিউনের কাজ চলছে। অন্যদিকে চিত্র পরিচালক সৌমেন বাবু জানান খুব তাড়াতাড়ি তার নতুন কাজ – আবার পরশ পাথর এর শুটিং শুরু করবেন।