আসন্ন শারদোৎসবে ভবানীপুর ৭৫ পল্লী তাদের থিম হিসাবে তুলে ধরেছেন “ঐতিহ্য বেঁচে থাকুক”। বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে উপস্থাপিত করা হবে এই থিমের মধ্যে দিয়ে।
ভবানীপুর ৭৫ পল্লী তার উদ্ভাবনী ধারনা এবং উপস্থাপন শেলীর জন্য বরাবরই শহরের একটি নজর কাড়া পুজা। এছাড়াও পুজা কমিটি সারা বছর ধরে যে সামাজিক কাজ করে থাকে তাও একটা বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। ভবানীপুর ৭৫ পল্লী নামটি বর্তমানে দক্ষিন কলকাতার নেতৃস্থানীয় থিম পুজো গুলির মধ্যে একটি উদীয়মান তারকা হিসাবে বিবেচিত। বিগত কয়েক বছর ধরে অবিরামভাবে, আমাদের পুজো একের পর এক নতুন থিম উপস্থাপন করে যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
এই ধারা বজায় রেখে, এই ২০২২ সালে, আমাদের পুজো একটা নতুন চিন্তা ধারা নিয়ে এসেছে “ঐতিহ্যে বেঁচে থাকুক – “ঐতাহ্য বাঁচুক”, যা আমাদের পুজোর থিমের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে। ৫৮ বছর বয়সী শিল্পী প্রশান্ত পালের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এই থিম।
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার সংস্কৃতি তার বিভিন্ন চিত্রকলা ও শিল্পকলার মাধ্যমে সবসময়েই অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে নারী পুরুষ এই পট শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। এতে যেমন মিটত আর্থিক চাহিদা, তেমন সমৃদ্ধ হত বাংলার সংস্কৃতি। ভবানী পুর ৭৫ পল্লীর পুজো মন্ডপে নিজের কর্মশালা নিয়ে উপস্থিত থাকবেন পটশিল্পী লালন। বাংলা মানেই সব ধর্মের পীঠস্থান এই প্রছন্ন বার্তাই দিচ্ছে ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজো কমিটির উদ্যোগতারা।
সংবাদ মাধ্যম কে ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর আহ্বায়ক সায়ন দেব চ্যাটার্জী বলেন, এটি একটি বড় সম্মান যে ইউনেস্কো বাংলার দুর্গা পুজো কে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পট শিল্পের এই বিলুপ্তপ্রায় শিল্প রুপটি এ বছর আমাদের পুজা উপস্থাপনার মাধ্যমে তার হারানো গৌরব ও খ্যাতি ফিরে পাবে। মেদিনীপুর জেলার পিংলা ও নয়াগ্রামের পট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিরা পুজা মন্ডপের পাশে স্টলে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন।
যাতায়াত, থাকা ও খাওয়ার সমস্ত খরচ সম্পূর্ণরুপে পুজো কমিটি বহন করবে। যে ভাবে আমরা গত বছর ছৌ এবং ঝুমুর শিল্পী দের জন্য করেছিলাম। যারা লাইভ পারফর্ম করেছিলেন এবং পুরুলিয়া জেলার মুখোশ শিল্পীরা যারা তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রি করেছিলেন। আমরা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শ্রমতী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত তাই এই শিল্পীদের মধ্যে অন্তত কিছু কে সাহায্য করার জন্য আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করবো।