নাট্যকার শিশির কুমার ভাদুড়ীর জীবনের ওপর একটি ‘বায়োপিক’ ঘোষণা করল ড্যানাওস প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড, সিনেমাটির পরিচালনা করবেন রেশমী মিত্র।
কলকাতা, ২৯ জুলাই ২০২২: বলিউডকে অনুসরণ করে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এবার নাট্যকার শিশির কুমার ভাদুড়ীর জীবনের ওপর একটি ‘বায়োপিক’ তৈরীর ঘোষণা করল ড্যানাওস প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড। সিনেমাটির নাম দেওয়া হয়েছে – ‘বড়বাবু’ যে নামে তাঁকে সকলেই এক ডাকে চিনতেন। ‘বায়োপিক’-এর ঘোষণা করা হল কলকাতার একটি হোটেলের সাংবাদিক সম্মেলনে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ বিক্রম ঘোষ. সিনেমাটির পরিচালক রেশমী মিত্র এবং ড্যানাওস প্রোডাকশনের তরফ থেকে সুমন ভট্টাচার্য্য। সিনেমার
স্ক্রিনপ্লে এবং ডায়লগের দায়িত্বে থাকছেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। সিনেমার সঙ্গে জড়িত সমস্ত গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন রেশমী নিজেই।
সিনেমাটিতে সম্পূর্ণ ভাবে সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে আক্ষরিক ভাবে ঘটনা প্রবাহ না থাকলেও এখানে নাট্যকারের জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরা হবে। বাংলা থিয়েটারে শিশির কুমার ভাদুড়ীর অবদান, বিশ্বের দরবারে বাংলা থিয়েটারকে পরিচিতি লাভ করানোর অদম্য প্রয়াস, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন প্রভৃতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এক চর্চার বিষয় হয়েছে অতীতে ‘বড়বাবু’-র থিয়েটারের দুজন প্রতিভাশালী অভিনেত্রী – প্রভাদেবী ও কঙ্কাবতীর জন্য। শিশির কুমার সেইসময় ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন কলেজে এবং সেই চাকরি ছেড়ে তিনি থিয়েটারের দুনিয়ায় ঝড় তোলার পথে অগ্রসর হয়েছিলেন। তাঁর পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন নাটকের ওপর কঙ্কাবতী অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। শিশির কুমার ভাদুড়ীর স্ত্রী যদিও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন এবং সেই কারণে নাট্যকারের ব্যক্তিগত জীবনেও মৃত্যুর ছায়া নেমে এসে যন্ত্রণার অভাব ঘটতে দেয়নি যার প্রভাব পড়েছিল অনেক ক্ষেত্রেই।
পরিচালক রেশমী মিত্র এব্যাপারে বলেন, “সিনেমার পর্দায় কোনো ব্যক্তিত্বের জীবনকাহিনী তুলে ধরার প্রয়াস বাংলা সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে হাতেগোনা। তাই এক্ষেত্রে আমরা এমন একজন ব্যক্তির জীবন পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি যাঁর সঙ্গে বাঙালিদের এক দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং আশা করছি আমাদের এই প্রয়াস সফলভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতেও সক্ষম হতে পারব।”
ড্যানাওস প্রোডাকশনের তরফ থেকে সুমন ভট্টাচার্য্য বলেন, “শিশির কুমার ভাদুড়ী বাংলা থিয়েটারের জগতের এক বিরল নক্ষত্র যাঁর নাম ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। বহু কষ্ট সহ্য করে তিনি থিয়েটারের মঞ্চকে গ্রহনযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক দরবারে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ‘বড়বাবু’-র মাধ্যমে তাই আমরা তাঁর থিয়েটার শিল্পের প্রতি ভালোবাসা, ব্যক্তিগত জীবনে কাজের এবং পারিপার্শিক প্রভাব – সমস্তই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। আমাদের আশা এই প্রয়াস বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক মাইলফলক তৈরী করবে।”