ভারতের মার্কেট ধরতে সস্তায় পর্যটন-কে সামনে রেখেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি। এবার গেম চেঞ্জ করতে চাইছেন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মূলত বিদেশি পর্যটকদের পাহাড় এবং ডুয়ার্সমুখী করতে পরিকল্পনা নিল ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড টুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এতোয়া), গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি)। যৌথ উদ্যোগে আগামী ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর দার্জিলিংয়ে প্রথমবার হতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল টুরিজম কনক্লেভ। নেপাল, ভারত, ভুটান তো বটেই, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও। কনক্লেভের উদ্বোধন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে।
আইসিসির উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান নিশান্ত মিত্তাল বলেন, পাহাড় এবং ডুয়ার্সের টানে প্রতি বছরই প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসেন। সেই সংখ্যাটা বৃদ্ধি করাটাই আমাদের লক্ষ্য। হোমস্টেকে ফোকাস করেই আমরা এগোতে চাইছি। এতোয়ার সভাপতি দেবাশিস মৈত্রর বক্তব্য, পর্যটনকে শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আমরা পর্যটনকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে চাইছি। আশা করব, কনক্লেভের মধ্যে দিয়ে উত্তরের পর্যটন নতুন পথ দেখবে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবে।
কোভিডের কোপে বিপর্যস্ত পর্যটন ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। কিন্তু ডোমেস্টিক টুরিস্টের ভিড় কতটা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখাতে পারবে, এই প্রশ্ন উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কোভিড ভীতি দূর হওয়ায় এবার বিদেশি পর্যটকদের দিকে নজর দিলেন উত্তরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই ক্ষেত্রে এতোয়া পাশে পেয়েছে জিটিএ এবং আইসিসিকে।
দার্জিলিংয়ে আয়োজিত দুদিনের কনক্লেভে গুরুত্ব পাবে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি)। অর্থাৎ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে তুলে ধরার পাশাপাশি পর্যটক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ হবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি। কনক্লেভে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যে নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অফ টুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্ট, বাংলাদেশের এক্সিলেন্স এশিয়া এবং ভুটানের বেশ কিছু পর্যটন ব্যবসায়ী কনক্লেভে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটন ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেবেন বলে এতোয়ার দাবি। জিটিএ কর্তাদের বক্তব্য, কনক্লেভের মধ্যে দিয়ে পুজো পর্যটনের ঢাকে কাঠি পড়বে পাহাড়ে। তাই কনক্লেভকে সামনে রেখে দার্জিলিং শহরকে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ।