অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
দক্ষিণ হাবড়ার ‘ সাঁজবাতি ‘ নামক মহিলাদের নেশা মুক্তি কেন্দ্রে মহিলাদের শ্লীলতা হানি ও অত্যাচার করার অভিযোগ। অভিযুক্ত হলেন নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক পিনাকী কর। মূলত এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রটি পরিচালনা করেন মালা বসুকর। তার স্বামীর নাম পিনাকী কর।




এই সাঁজবাতি নামক নেশা মুক্তি কেন্দ্রের একজন মহিলা পেশেন্ট জানান যে ওইখানে সমস্ত পেশেন্টদের জলের পাইপ দিয়ে মারধর করা হয় এবং পোষ্যের পটি খাওয়ানো হতো। পেশেন্টটি জানান উনি ভর্তি হওয়ার পরদিনই তাকে মারধর করা হয় বিনা কারণে। এই কারণে উনি ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন এবং অন্যান্য পেশেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে তাদের সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হতো। তাই উনি হাবরার এসপি অফিসে অভিযোগ করেন। এসপি অফিস থেকে থানায় অভিযোগ করা হয় ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতিমধ্যেই নেশা মুক্তি কেন্দ্রটির ব্যাপারে খতিয়ে দেখছেন।

ওই পেসেন্টটি আরো জানিয়েছেন যে এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রটির কোনরূপ সঠিক সরকারি কাগজ বা প্রমাণ পত্র নেই। যে সকল প্রমাণপত্র রয়েছে তা বেশিরভাগই টাকা দিয়ে তৈরি করা অর্থাৎ জাল। এবং এই কেন্দ্রটির মালিক নিজেকে শাসক দল তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং পেশেন্টের পরিবারের সকলকে ভয় দেখান।

এ বিষয়ে সাঁঝবাতি নেশা মুক্তি কেন্দ্রটির মালকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান তাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। কারণ উনি নিজেকে কখনোই তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন নি কিন্তু উনি একজন তৃণমূল কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে আনা শ্লীলতা হানির অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা কারণ তার স্বামী সেই কেন্দ্রে আসেন না কারণ ওই কেন্দ্রটি একটি মহিলা নেশা মুক্তি কেন্দ্র। এর পাশাপাশি উনি জানান যিনি এই অভিযোগ করেছেন অর্থাৎ ওই মহিলাটি সেক্স রেকেট এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাকে ঐ কেন্দ্রে আসতে মানা করে দেওয়া হয়েছিল বলে মহিলাটি এই মিথ্যা অভিযোগ এনেছে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক এবং মালকিনের বিরুদ্ধে।