পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ রাষ্ট্রসংঘের একটি সাম্প্রতিক রিপোর্টে স্কুলে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোনকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে অবিলম্বে স্কুলে স্মার্ট ফোন ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন শিশুদের স্বার্থে। শ্রেণীকক্ষের অনুশাসন বজায় রাখতে স্মার্ট ফোন ব্যবহার কমানো প্রয়োজন। ইউনেস্কো জানিয়েছে, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমছে। বহুক্ষণ মোবাইল দেখার ফলে বাচ্চাদের মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলেই জানাচ্ছে ইউনেস্কো।
এই প্রসঙ্গে ইউনেস্কো জানিয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল টেকনোলজি এবং এআই ব্যবহারের বিষয়টি যত কম হয় ততই ভালো। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে সরাসরি মুখোমুখি যোগাযোগ শিক্ষার জন্য প্রয়োজন। তার কখনও কোনও প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ শিক্ষা ক্ষেত্রে সামাজিক বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাই তুলে ধরেছে এই রিপোর্ট। নাহলে শিক্ষা ব্যবস্থা তার মূল লক্ষ থেকে সরে যাবে বলেই দাবী করছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল Audrey Azoulay র মতে ডিজিটাল বিপ্লব প্রয়োজন। শিক্ষা ক্ষেত্রও সেই প্রয়োজনীয়তার বাইরে নয়। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল টেকনোলজি কীভাবে প্রভাব বিস্তার করবে তার গবেষণা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তাই ইতিবাচকের পরিবর্তে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ছে শিশুদের ওপর। ছাত্র শিক্ষকের যে সম্পর্ক তার জায়গায় ডিজিটালাইজেশন সমস্ত আত্মিক সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। তাই ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষতির কথা না ভেবেই এই ভাবে স্মার্ট ফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার ঠিক নয়। তাই রাষ্ট্র সঙ্ঘ বিভিন্ন দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে ডিজিটালাইজেশনের স্পষ্ট উদ্দেশ্য, নীতি এবং ব্যবহার নির্দিষ্ট করা হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে। যাতে স্মার্ট ফোন শিশুদের ক্ষতি না করে তাদের উপকার করতে পারে।