Home » প্রয়াত প্রখ‍্যাত অভিনেত্রী উত্তরা বাওকার। শোকাহত থিয়েটার জগত

প্রয়াত প্রখ‍্যাত অভিনেত্রী উত্তরা বাওকার। শোকাহত থিয়েটার জগত

ভারতের অন‍্যতম প্র‍খ‍্যাত প্রবীন অভিনেত্রী উত্তরা বাওকার  প্রয়াত হলেন। উত্তরা বাওকার যাকে আমরা একাধিকবার মারাঠি থিয়েটার মঞ্চ সহ বেশকিছু হিন্দি ধারাবাহিক ও হিন্দি চলচ্চিত্রে দেখেছি নানান চরিত্রে।

জন্মগ্রহন ১৭ মে ১৯৪৪, মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলীতে। ইব্রাহীম আলকাজির তত্বাবধনে দিল্লির ন‍্যাশনাল স্কুল অফ্ ড্রামা তে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৬৮ সালে স্নাতক হন।

মারাঠি থিয়েটার মঞ্চেই তার অভিনয় জীবন শুরু। মুখ‍্যমন্ত্রী তে পদ্মাবতী, মেনা গুরজারি তে মেনা, শেক্সপিয়ারের ওথেলো তে ডেসডিমোনা, গিরিশ কারনাডের তুঘলক এ নাট‍্যকারের মা, ছোট সাইয়াদ বড় সাইয়াদ এ নাচনী, এবং উমরাও জান নাটকে উমরাও ইত‍্যাদি চরিত্রে আমরা তাঁর অভিনয় প্রতিভা দেখতে পাই।  দিল্লিতে এনএসডি-র প্রাক্তন শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে, তিনি ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে এনএসডি নিধি সংস্থার সাথে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসাবে ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে চলচ্চিত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আগে এই সময়টি হিন্দি থিয়েটারের পুনর্জাগরণ সময় হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে তিনি জয়বন্ত দলবির নাটক সন্ধ্যা ছায়া পরিচালনাও করেছিলেন।

মূল নাটকের হিন্দি অনুবাদ করেছিলেন কুসুম কুমার। তিনি মারাঠি ছবি শেভরী এবং দোঘি তে সদাশিব আম্রপুরকরের সাথে অভিনয় করেছিলেন। উত্তরায়ণ এবং রেস্তোঁরা ছবিতে তিনি সোনালী কুলকার্নির সাথে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার এবং হিন্দি থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য ভারতের জাতীয় একাডেমির পুরস্কার জিতেছিলেন। এরপর ১৯৮৯ সালে তিনি এক দিন অচানক ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মৃণাল সেন। এই চলচ্চিত্রে শাবানা আজমি শ্রীরাম লাগু অপর্ণা সেনের মত সহ শিল্পীদের তিনি পেয়েছিলেন।

১৯৮৯ সালে তিনি এক দিন অচানক ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।

দীর্ঘ রোগভোগের পর তিনি হাসপাতালে শেষ নিস্বাস ত‍্যাগ করেন। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর ।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!