পুজোর আর বেশি দেরী নেই। দু-বছর করোনা বিধি নিষেধের পর বাঙালি আবার নতুন করে বাধ ভাঙা আনন্দে মেতে উঠতে চলেছে। আকাশে শরতের পেজা তুলোর মত সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে, সোস্যাল মিডিয়া গুলোতেও ছেয়ে আছে প্রাক শারদোৎসবের নস্টালজিক পোষ্ট। কুমারটুলিতেও এখন শিল্পীদের চরম ব্যাস্ততা। কেনা কাটিও শুরু হয়েগেছে, সাথে চলছে পঞ্চমী থেকে দশমী প্ল্যানিং কারন এ কদিন বাঙালির পায়ের তলায় সরষে থাকবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম কলকাতা তথা বাংলা মেতে উঠছে আনন্দময়ীর আগমনে।
এবছর আমরাও আনন্দময়ীর আগমনে আমরাও এগিয়ে এসেছি কিছু নতুন ভাবনা নিয়ে। সাথে রয়েছে বেশ কিছু নতুন প্রতিভার মুখ।
শারদ উৎসব মানেই ঢাকে কাঠি। ঢাক বাঙালির এক অতি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র যা না বাজলে শারদ উৎসব একেবারেই অসম্পূর্ণ। শরতের কাশফুল ফোটার সাথে সাথেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতন্ত্য গ্রাম বাংলা থেকে আমাদের আনন্দ দিতে প্রস্তুত হন ঢাকীরা। প্রথমার দিন থেকেই শিয়ালদহ ষ্টেশন, কালীঘাট, শোভাবাজার ইত্যাদি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় এই ঢাকী শিল্পীরা চলে আসেন বায়নার আশায়। তারপর তারা চলে যান পুজো মন্ডপগুলোতে। পুজোর এই পাঁচ টা দিন ঢাকের তালে মেতে ওঠে জাতি ভেদ নির্বিশেষে পশ্চিমবঙ্গ বাসী। আনন্দের এই ঝরনা ধারা বয়ে চলে দেশ থেকে বিদেশে।
কিন্তু এত কিছুর পরেও সামান্য কিছু পারিশ্রমিক ছাড়া এই ঢাক শিল্পীরা পান না যথাযথ সম্মান। বিজয়ার পরেই মন খারাপের আবহে আবার তারা ফিরে যান তাদের গ্রামে। তাই এ বছর থেকে আমরা শুরু করছি “শ্রেষ্ঠ ঢাক সম্মান -২০২২”! ইতিমধ্যেই কলকাতার প্রায় ২০০ টি বিখ্যাত পুজো কমিটি এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। আমাদের এই উদ্যোগে এই পুজো মন্ডপ গুলির সাড়া পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ।
এই শিল্পীদের সম্মান জানাতে আমাদের সাথে থাকবেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বিখ্যাত শিল্পী আবীর চট্টোপাধ্যায়, ইশা সাহা, অর্জুন চক্রবর্তী, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, সোহম চট্টোপাধ্যায়, বনি ও কৌশানী সহ আরো অনেকে।
এখানেই শেষ নয়, কোলকাতার বিনোদন জগতে নবাগত নবাগতা দের নিয়েও শুরু হয়েছে বিশেষ আগমনী শুট। এই শিল্পীদের ছবি ব্যানারের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে প্রতিযোগি মন্ডপ গুলিতে। তাদের মধ্যও উন্মাদনা রয়েছে চুড়ান্ত।
আজ রইলো তাদের কিছু বক্তব্য ও ছবি।
অমাদের অনুরোধ, আমাদের ইউটিউব চ্যানেল টি সাবসক্রাইব করতে ভুলবেন না।