সত্যিটা স্বীকার করুন, আজ আপনিও টিভি খুলে কুচকাওয়াজ দেখতে পারেন নি !
আজ, সরস্বতী পুজো। বাঙালির দূর্গোতসবের পর, বারো মাসের তেরো পার্বনের সব থেকে জনপ্রিয় পার্বন এই সরস্বতী পুজো। মা সরস্বতী বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী, আর এই দুই বিষয়েই দেশে একমাত্র বাঙালি জাতিই সব থেকে বেশী এগিয়ে থেকেছে এবং ভবিষ্যতে থাকবেও। আর এদিনেই বাঙালি তার বিদ্যা অর্জনের অভিষেকের দিন হিসাবে “হাতে খড়ি ” অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। এবং এই রীতি মেনেই আজ রাজ্যের নব নিযুক্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দক্ষিনী রাজ্যের মানুষ হয়ে তার বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি প্রতি তার শ্রদ্ধাসহ শেখার ও জানার ইচ্ছা থেকেই তিনি আজ রাজভবনে “হাতে খড়ি” করবেন মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে। যদিও এ নিয়ে বিরোধী দলের জটিল চিন্তার কুটিল বক্তব্যের শেষ নেই, তবে তা সবই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। আজকে রাজ্যপালের হাতে খড়ি অনুষ্ঠান অভূতপূর্ব ও ঐতিহাসিক হতে চলেছে।
যাইহোক, আজ বাঙালিরা যুব সম্প্রদায় শুধুমাত্র বাগদেবীর আরাধনাতেই না, মেতে উঠেছেন প্রেমের উৎসবেও। বাঙালি বিদ্যা আর সঙ্গীতের পর যে দুটি বিষয়ে ভীষন ভাবে আবেগী তা হল মাছ বিশেষ করে ইলিশ আর প্রেম। আজ বেশীর ভাগ বাড়িতেই রান্নায় থাকবে গোটা সিদ্ধ আর ইলিশের নানান পদ। অন্যদিকে সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া থেকে শুরু করে সমগ্র যুব সম্প্রদায়ের কাছে আজকের দিনটা “ভ্যালেন্টাইন ডে”। এতক্ষনে রাস্তায় ভীড় জমেছে পাঞ্জাবী আর পাড় ভাঙা নতুন শাড়িতে নব যুগলের ভীড়। শহরের প্রতিটি লাভার স্পট আজ জমজমাট। শুধু যুব সমাজই নয়, আজকের দিন টা বহু মানুষের কাছে একটা নস্টালজিয়ার। ভালোবাসার ও স্মৃতি রোমোন্থনের।
যদিও আজ সরস্বতী পুজোর সাথে সাথে প্রজাতন্ত্র দিবস ও পালিত হচ্ছে তবে একথা ঠিক যে শহর কলকাতায় প্রজাতন্ত্র দিবস হার মেনেছে প্রেমের উৎসবের কাছে। আপনাদের সকলকে আমাদের তরফ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস ও বাগদেবী আরাধনার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আর ঈশ্বরের কাছে প্রাথনা করি আমাদের তিলোত্তমা এই ভাবেই ভবিষ্যতেও প্রেমের উৎসবে মেতে উঠুক।