বর্তমানে নতুন যুবক যুবতী দের সব থেকে পছন্দের কেরিয়ার হলো বিনোদন জগৎ। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠা, সহজেই প্রচুর টাকা রোজগার আর গ্ল্যামারাস জীবণ যাপন পাওয়ার লোভেই বিনোদন জগতে ঝাঁপানোর ইচ্ছা।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপনি আপনার বাড়ির আশেপাশেই পেয়ে যাবেন উঠতি মডেল নায়িকা এবং ফটোগ্রাফার। সকলেরই ইচ্ছা বাংলা ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজ বা চলচিত্র জগতে অভিনয় করার। আর এই গ্ল্যামার দুনিয়ায় কাজ দেবার সুযোগের নামেই কিছু মানুষ চালিয়ে যান অপরাধীক কাজ কর্ম।
এবার সেরকমই অভিযোগ উঠে এসেছে সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি উঠতি কিশোরী মডেল গল্ফগ্রীণ থানায় অভিযোগ করছেন, যে বেহালা নিবাসী অয়ন দাস নামে এক ফটোগ্রাফার এর তিনি যোগাযোগ করেছিলেন নিজের পোর্টফোলিও শুট করানোর জন্যে। পরবর্তী কালে এই অয়ন দাস ফটোগ্রাফার মডেলটির পোর্টফোলিও শুট করার সময়ে কিশোরী মডেল কে একটি পর্ন সাইটে অভিনয় করার প্রস্তাব দেয় এবং পরবর্তীকালে জোর করে নগ্ন অবস্থায় ক্যামেরার সামনে আসতে জোর করে। কিশোরী মডেল টি রাজী না হওয়ায় অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার তাকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ করছেন।
এর পরে অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার জোর করে কিশোরী মডেলের বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি তুলেনেন।
নিগৃহীত কিশোরী মডেল তার আইনজীবীর মাধ্যমে গল্ফগ্রীণ থানায় অভিযোগে এও জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই তিনি ৫০ হাজার টাকা অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার কে দেবার পরেও সব ছবি ফটোগ্রাফার তাকে দেননি।
জানা যাচ্ছে, পুলিশ অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার অগ্রিম জামিনে মুক্ত রয়েছেন। যদিও নিগৃহিতা কিশোরী মডেলের আইনজীবী সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন যে তারা অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার অয়ন দাস এর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করছেন।
এভাবেই বিনোদন জগতের হাতছানি তে ঘটে চলেছে নানান অপরাধ। কি ভাবে দুরে থাকবেন এই সব দুর্ঘটনা থেকে জেনে নিন।
১. ফোটোগ্রাফার এর সম্পর্কে অর্থাৎ তার কাজ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোঁজ রাখুন।
২. কখনোই একা ফটোশুটে যাবেন না। সাথে একজন অভিভাবক কে রাখুন।
৩. অচেনা জায়গায়, বা সিসি টিভি হীন ষ্টুডিও তে ফটো শুট করবেন না।
৪. পোর্টফোলিও শুটের আগে অগ্রিম টাকা দেবার সময় লিখিত চুক্তি করুন।