পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজ ৩রা মে ৩০ তম বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস(world press freedom day)। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব এবং দেশ জুড়ে সাংবাদিকরা যে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে তাই নিয়ে দেশকে সচেতন করার জন্যই পালিত হয় এই দিনটি। ইউনেস্কো র সাধারন সম্মেলনের(genral confarence of UNESCO) পরামর্শে জাতি সঙ্ঘের সাধারন পরিষদ(general assembly of UN) ১৯৯৩ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন শুরু করে। প্রতি বছর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিবসের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয় ঠিক করে নেওয়া হয়। এই বারের বিষয় হল- “Shaping a Future of Rights: Freedom of Expression as a Driver for All Other Human Rights”
একদল আফ্রিকান সাংবাদিক স্বাধীন ও বহুত্ববাদী সংবাদ পত্রের প্রচারের জন্য নামিবিয়ায় ইউনেস্কোর একটি সম্মেলনে জড়ো হয়েছিল। সেই থেকেই বিশ্ব সংবাদপত্র দিবসের পালনের পরিকল্পনা শুরু হয়। তারা ৩রা মে দিনটিকে বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয় এবং দিনটিকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করতে বলে। ১৯৯৩ সালে জাতি সঙ্ঘের সাধারন সম্মেলনে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। তারপর থেকেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালিত হয় প্রত্যেক বছর।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব, সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমের প্রচারের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করাই এই দিনের আসল উদ্দেশ্য। সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং কলমের স্বাধীনতার গুরুত্বের ওপর জোড় দেয় এই দিন। সাংবাদিকরা যেন কোন লেখা বা মতামত প্রকাশ করতে ভয় না পায় সেদিকটাও মাথায় রাখা দরকার। সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। জ্ঞানের অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকেও স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিনটি।
বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস সংবিধানের ১৯ তম ধারায় বলা মানব অধিকারের বাক স্বাধীনতার গুরুত্বকে আলোকিত করেছে। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে বৃদ্ধি করতে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম খুবই প্রয়োজন। জনগণের কাছে সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য পৌঁছে দেওয়া এবং শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান মানুষদের কাছে জবাবদিহি চাওয়ার যে ভুমিকা সাংবাদিকরা পালন করে চলেছে তাকে অনেকটা সম্মানিত করে এই অনুষ্ঠান।