গতকালই আমরা উল্লেখ করেছিলাম -ঠিক কতটা বিপদে এই ১৯১১ জন চাকরী হারানো গ্রুপ ডি-র কর্মচারীরা। আমরাই প্রথম আন্দাজ করে ছিলাম কি হতে পারে এই বার। ঠিক সেই পথেই চলছে আদালতে মামলা মোক্কোদমা।
কয়েকদিন আগেই, শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় OMR sheet এ বিকৃতি ও মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে, যোগ্য চাকরী প্রার্থীদের বঞ্চিত করে, চাকরিতে যোগদানের অভিযোগে ১৯১১ জন কে চাকরী থেকে বহিস্কার করা হয় সাথে বিগত পাঁচ বছর ধরে যে বেতন তারা পেয়েছেন তা তাদের সকল কে ফেরত দিতে আদেশ দেন হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলী। এই ১৯১১ জন চাকরী হারানো ব্যাক্তিদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা শাষক দলের সদস্য।
এবার তারাই আজ হাইকোর্টে নতুন প্রশ্ন তুলে মামলা শুরু করলেন। কেন ফেরত দিতে হবে বেতন? হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই নতুন মামলার আপিল হয় বিচারপতির নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে।
চাকরী হারানো কর্মীদের মধ্যে কয়েকজন দাবী করেছেন, বিগত পাঁচ বছরে তারা শ্রম দিয়েছেন, স্কুলে ঘন্টা বাজিয়ে বা শ্রেনী কক্ষের দরজা খুলে বা বন্ধ করে। এই শ্রমের পরিবর্তে পারিশ্রমিক পাওয়া একটা সাংবিধানিক অধিকার। এই প্রশ্ন এ সামনে রেখেই নতুন মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারক সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে বলেই আশাকরা হচ্ছে।