পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ গতকাল পঞ্চায়েত ভোট সম্পন্ন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। যদিও ভোট কতটা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়, বেশির ভাগ জায়গা থেকেই তো রিগিং এর খবর পাওয়া গেছে। তাই ভোট অর্থাৎ গণতন্ত্রের ওপর জোর দিয়ে হয় সরকার নির্বাচন। এদিন কতটা গণতান্ত্রিক কাজ হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এদিন যেটা ঘটেছে তা হয় মৃত্যু উৎসব। মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। যেসব জেলায় ভোট হয়েছে প্রতিটি জেলাতেই মৃত্যুর খবর আছেই। মৃত্যু তো স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু এটা তো স্বাভাবিক মৃত্যু নয় খুন। এদিন পশ্চিমবঙ্গে খুন হয়েছে বহু মানুষ। এই খুনের বিষয়ে মুখ খুলেছে টলি পাড়া। টলিউডের অনেক মানুষই ছিলেন সামাজিক মাধ্যমে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
অভিনেতা ঋদ্ধি সেন প্রায় সব ঘটনাতেই নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন তিনি। তিনি গতকালের ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেছেন। ভোটের নামে চলা তাণ্ডবে সরব হয়েছেন তিনি। নিজের সামাজিক মাধ্যমে তিনি সরাসরি বলেছেন এ যেন গণতন্ত্রের লাশ পড়েছে। সেই পচে যাওয়া লাশের গন্ধ নিয়ে রাজনৈতিক শিবির গুলো মাংস ভাত খাচ্ছে। এবং সাধারণ মানুষ তাই হা করে দেখছে। এত কিছুতে কিছুই যেন বলার নেই তাদের। তারাও মাংস ভাত খেতে ব্যস্ত। অভিনেতা তার পোস্টের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সাধারণ মুখ বন্ধ করে থাকা মানুষদেরও কটাক্ষ করেছেন।
গলায় একই সুর টেনেছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। অভিনেতা প্রায়ই একটি পুতুল হাতে নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেন। গতকাল সেই পুতুলের সাথে ছবি দিয়ে তার মুখ থেকেই প্রশ্ন ছুড়ছেন, ‘পুলিশ কবে পুলিশ – পুলিশ খেলে?’ সত্যি তাই পুলিশরা পুলিশ পুলিশ খেলছে কোনও কাজ করছে না। এটাই আসল বক্তব্য অভিনেতার।
অভিনেতা জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই সুর রেখেছেন। তিনি তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন করেছেন যে ‘এটা ভোট? তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা পথে নামবে না?’ সব ঘটনাতেই পথে নেমে আন্দোলন করেন বুদ্ধিজীবীরা। তাহলে এ বিষয়ে কি তারা মুখ খুলবে না?
টলিউড থেকে সাধারণ মানুষ সকলের মনে এখন কিছু প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন মৃত্যু মিছিল কতদিন চলবে? মানুষের নামে গণতন্ত্রের লাশ পড়া বন্ধ হবে কবে? ভোট নামক প্রহসন চলবে আর কত বছর?