রাহুল দেব বর্মণ এই নাম টাই আজ ভারতীয় তথা বিশ্ব সঙ্গীত জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারতীয় সঙ্গীত কে বা ভারতীয় চলচিত্রের সঙ্গীত কে পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের সাথে তাল মিলিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন একের পর এক যুগান্তকারী সুর তাঁর সাথে তাঁর সমসাময়িক পার্শ্ব গায়ক গায়িকাদের দিয়েগেছেন অমরত্বের সুযোগ। লতা আশা থেকে কিশোর কুমার অমিত কুমার এই নাম গুলোর আছে এক দীর্ঘ তালিকা। পঞ্চম বা রাহুল দেব বর্মনের সঙ্গীত জীবন নিয়ে প্রায় সকলেরই জানা তাই আজ অনার ৮৫তম জন্ম বার্ষিকী তে রইলো তাঁর জীবনের কিছু অজানা কথা ।
১. রাহুল দেব বর্মণের প্রিয় ফিয়েট গাড়ি যার মুম্বাই রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল – BMC 1139 ,সেই গাড়ীটি ২০২০ অবধি তাঁর আবাস স্থল মেরিল্যান্ড অ্যাপার্টমেণ্টে রাখা ছিল , পরবর্তী কালে একজন ব্যবসায়ী গাড়ীটি কিনে নেন পঞ্চম দার স্মৃতি হিসাবে ।
২. পঞ্চম দার সাথে শেষ সাক্ষাৎ করেছিলেন পরিচালক ভীদু বিনোদ চোপড়া , 3rd January 1994 রাত সাড়ে ৯ টায় । প্রসঙ্গ ছিল 1942 A Love Story – র সংগীত পরিচালনা ।
৩. আপনারা জানলে অবাক হবেন, পঞ্চম দা অর্থাৎ রাহুল দেব বর্মণ সংগীত চর্চা ছাড়া ভালোবাসতেন লঙ্কা গাছের চারা চাষ করতে । তিনি তাঁর আবাসনের বারান্দায় প্রায় ২০০ রকমের লঙ্কার চারা লাগিয়েছিলেন ।
৪. পঞ্চম দার পছন্দের পারফিউম ছিল Grey Flannel designed by Geoffrey Beene.
৫. পঞ্চম দার পছন্দের রেকর্ডিং স্টুডিয়ো টি ছিল মুম্বাইয়ের তারদেও তে অবস্থিত ফিল্ম সেন্টার যেখানে তৎকালীন সময়ে তাঁর গ্র্যান্ড পিয়ানো টি সব সময় রাখা থাকতো ।
৬. একবার গোপাল পুরের সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে ডুব দিয়ে চান করার সময় পঞ্চম দা বুঝতেই পারেননি যে তাঁর পায়ে একটি বিষাক্ত সাপ জড়িয়ে ধরে আছে। পরে দেখেও তিনি ভয় পাননি। অথচ রাহুল দেব বর্মণ বাড়ির ঘরোয়া টিকটিকি কে দেখলেই আতঙ্কিত হতেন।
৭. রাহুল দেব বর্মণের সব থেকে পছন্দের ছিল সাঁতার কাটা আর মাউথ অরগ্যান বাজানো। একবার ঢাকুরিয়া অ্যান্ডারসন সুইমিং ক্লাবে একটি সুইমিং ব্যালেতে , তিনি নিজে সুইমিং করতে করতে মাউথ অরগ্যান বাজিয়েছিলেন।
৮. সময় টা ছিল ১৯৬৫ , আর ডি বর্মণ তাঁর ঘরে ভুত বাংলা সিনেমার জন্য সঙ্গীত রেওয়াজ করছেন সেই সময় রাতের দিকে তিনি তাঁর বাগানে অদ্ভূত কিছু আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখেন তাঁর প্রতিবেশী কয়েকটি কিশোর তাঁর বাগানের আম চুরি করতে এসেছে । আর ডি বর্মণ তাদের হাতে নাতে ধরে তাদের কে ঘরে নিয়ে গিয়ে শাস্তি সরূপ বাধ্য করেছিলেন সারা রাত তাঁর গান শুনতে।
৯. মেরে ন্যায়না সাওন ভাদো … আর ডি বর্মণের এই গানের কম্পোজিশন শুনে কিশোর কুমার বলেছিলেন এই গানের সুর এতটাই কঠিন যে তারপক্ষে এই গান গাওয়া সম্ভব নয় তাঁর থেকেও ভাল কোন প্লেব্যাক সিঙ্গার কে দিয়ে এই গান রেকর্ড করাতে কিন্তু আর ডি বর্মণ নাছোড় বান্দা হয়ে কিশোর কুমার কে রাজি করান। তখন কিশোর কুমার একটি শর্ত রেখেছিলেন। যে এয়াই গান প্রথমে লতা গাইবে আর আর ডি বর্মণ সেতাই করেছিলেন। লতাজির গাওয়া সেই গান প্রায় এক সপ্তাহ শোনার পর কিশোর কুমার এই গান রেকর্ড করেছিলেন।
১০.