আগামী ৩০শে জানুয়ারি সকাল ১১টায় দেশের সব রাজ্য কে ২ মিনিট নীরবতা পালনের নির্দেশ দিলেন সরাষ্ট্র দফতর। ইতিমধ্যেই লিখিত নির্দেশ পৌঁছে গেছে প্রতিটি রাজ্যের প্রষাশনিক দফতরে।
করোনা কালের শুরুতে, দেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র দামোদর মোদি, সমস্ত দেশ বাসীকে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে সকল কে একজোট বদ্ধ হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা স্বরুপ মোমবাতি জ্বেলে প্রজ্বলিত করতে আবেদন করেছিলেন। লকডাউনের সেই কঠিন কর্মহীন গৃহবন্দী দেশবাসী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আবেদনে সারা দিতে গিয়ে অনেকেই মোমবাতি প্রজ্বলন করতে গিয়ে অতিৎসাহিত হয়ে আতসবাজী পোড়াতে শুরু করেছিলেন।
এর পরবর্তী করোনা কালে আবারও কঠিন লকডাউনে সকল দেশবাসী কে নিজ গৃহে থেকে মানসিক ভাবে কঠিন ও একত্রিত থাকার লক্ষন হিসাবে সকালে প্রতিটি বাড়িতে থালা বা কাঁসি বাজাতে অনুরোধ করেন। এবারও দেশের বেশ কিছু রাজ্যের মানুষ এই বাহানায় পাড়ার রাস্তায় বাজনা বাদ্যি সহযোগে শোভাযাত্রা অনুষ্টিত করেন।
এবার প্রায় দুবছর পর আমরা করোনা মুক্ত। কিন্তু এবার দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের সরাষ্ট্র দফতর থেকে নির্দেশ আসে….. আগামী ৩০শে জানুয়ারি, সকাল ১১ টায় পালিত হবে ২ মিনিটের নিরবতা। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মৃতু্য দিবস ও দেশের স্বাধীনতা তথা প্রতিরক্ষার কারনে সকল শহীদ কে শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সরকার আদেশ অনুযায়ী ওই দিন সকাল ১১টায় দেশের প্রতিটি রাজ্যের সাইরেন বেজে উঠবে বা রাজ্যে থাকা সামরিক তথা পুলিশের বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছোঁড়া হবে এবং তখনই যে যেখানে যে অবস্থায় আছে, মানুষ থেকে যান বাহন তথা কল কারখানা সব স্তব্ধ হয়ে যাবে আর তখন থেকে ২মিনিট নিরবতা পালন করে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে হবে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী সহ দেশের সব শহীদ দের। শুধুমাত্র এবারই নয়, এবার থেকে এই নিয়ম চালু হচ্ছে বলেই সুত্রের খবর।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো পদযাত্রা এই দিন শেষ হবে জম্মু কাশ্মীরে সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানা গেছে। এবার থেকে এই দিন টিকে বিশেষ শহীদ দীবস হিসাবে পালন করা হবে বলেই জানা গেছে।
তবে দেশের জনগন এই নির্দেশ কে কিভাবে পালন করবে এবার সেটাই দেখার।