রাজ্য রাজনীতিতে দল বদল বা ভাঙন নতুন কিছু না। তবে বর্তমান রাজ্য রাজনীতির পরিবেশে দল ভাঙন মানে বুঝতে হবে নতুন সমীকরন। এমনিতেই বিরোধী দল গুলির সাথে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের তৎপরতা নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে রাজ্যের শাষকদল। রাজ্যে ঘটে যাওয়া যাবতীয় দূর্নীতির দায়ে প্রতিনিয়ত শাষক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা স্তরের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের কেও ইডি সিবিআই যৌথ ভাবে কখনও ডেকে পাঠাচ্ছেন তো আবার কখনও বাড়িতে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসী দেখেছেন পাহাড় সম নগদ ও সোনার বেহিসেবি অলংকার যা শাষক দলের মন্ত্রী আমলা সহ জেলা স্তরের নেতাদের কাছে পাওয়া গেছে। তাই শাষক দলের কাছে নতুন সমীকরনের পন্থা অবলম্বন ছাড়া উপায় নেই।
এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে ভাঙড়ের ভগবানপুর অঞ্চলের নাটাপুকুর ৬০নম্বর বুথের আই এস এফ দল থেকে সভাপতি সফিকুল ইসলাম সহ বেশ কিছু আই এস এফ কর্মী, ভাঙড়ের তৃনমূল কংগ্রেস নেতা খাইরুল ইসলামের হাত ধরে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। এর পরেই তারা তৃনমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য আই এস এফ ত্যাগ করার কথা ঘোষনা করে একটি মিছিলও বের করেন।
এরপরেই শুরু হয় বাকযুদ্ধ। ভগবান অঞ্চলের আই এস এফ নেতা বাবুসোনা মোল্লা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন – ওরা নিজেদের লোকদের সাজিয়েই যোগদান করিয়েছে আর আই এস এফ কর্মীদের মনোবল ভাঙতে ভূয়া খবর রটাচ্ছে। আমাদের কোন কর্মী সমর্থক তৃনমূলে যোগদান করেননি।
অন্যদিকে, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় অবজারভার শওকত মোল্লা জানান, শুধুমাত্র ভগবান পুর নয় ভাঙড়ের সর্বত্রই আই এস এফ কর্মীরা আই এস এফের দ্বিচারিতা ও তৃনমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখেই তৃনমূলে যোগদান করছেন। আগামীদিনে যা তৃনমূল কে অনেক শক্তিশালী করবে।
তবে মাননীয়ার মুখে অনেক আগেই ভাঙড় নিয়ে বক্তব্য ছিল – ভাঙড়ে শুধুমাত্র বোমাবাজি আর মারামারি হয়। তাই আই এস এফ থেকে তৃনমূল বা তৃনমূল থেকে আই এস এফ এ যোগদান করে সংগঠন শক্তিশালী হবার কোন অবকাশ আদৌ আছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।।