দিন বদলেছে, বদলেছে মানুষের চিন্তা ভাবনা- আমরা এটাই ভাবি। আসলে অামরা সবাই একটা মুখোশ পরে থাকি ; অভিনয় করি আধুনিক মানসিকতার বা চিন্তা ভাবনার। মনে মনে আমরা পড়ে আছি সেই অতীতেই যেখানে জাতী, ধর্ম বিদ্বেষ ছিল। ছিল ছুত অছুত মার্গ।
কারন এই সময়ে আমরা মুখে এসব কথা না বললেও আমরা বেশির ভাগ সময়ে নিজ ক্ষেত্রে এসব কিছু কেই সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।

আমরা অনেকেই বিবেকানন্দ বানী উক্তি অনুসরন করি। বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী তে গর্জে উঠে বলি বা সামাজিক মাধ্যমে স্টেটাস দিয়ে জানাই – হে ভারত, ভুলিও না – নীচজাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই।

এই “তোমার”, কখনই আমার হয়ে ওঠেনি। আমরা আজও নিজ ক্ষেত্রে কখনই মেনে নিতে পারিনা অন‍্য ধর্মের মানুষ বা শ‍্যামবর্ন কোন ব‍্যাক্তি কে।
বিনোদন জগত থেকে শুরু করে নিজেদের ব‍্যাক্তিগত জীবনে না মেনে নেবার অনেক জলজ‍্যান্ত উদাহরন আছে আমাদের সামনেই।

ইদানিং কালে সমাজের সব সমস‍্যা বা উৎসব অনুষ্ঠানে গ্রাফিক্স ছবির মাধ‍্যমে তা বহিঃপ্রকাশ করার একটা চল এসেছে। এবারও বর্ন বিদ্বেষ নিয়ে তেমনি একটি ছবি ভাইরাল হল। যে টি সমাজের নানান শ্রেনীর মানুষ কালীপুজোর শুভেচ্ছা বার্তায় ব‍্যাবহার করে ভাইরাল করেছেন।

ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি কালো বর্নের নারীর পা একটি বিখ‍্যাত কসমেটিকস কোম্পানির ( যা মানুষ কে কালো থেকে, ফর্সা করার মিথ‍্যা প্রতিশ্রুতি দেয়) মোড়কে পা দিয়ে মোড়কের সব ক্রীম বের করে দিয়েছেন। ছবির নিচে লেখা “বয়েই গেছে “।

ছবিটির রপ দান অনেক টাই মা কালীর, মহাদেবের বুকে পা রাখার মত। এই ছবিটির মাধ্যমে এটাই বক্তব্য যে, আজ মা কালী, যার গায়ের রঙ কালো তিনি ছাই মেখে সাদা দেবাদীদেব মহাদেব কে পায়ের নিচে রেখেও সর্বত্র পুজিত, ঠিক তেমন ভাবেই শ‍্যামবর্না নারী বা পুরুষ সর্বত্র গ্রহন যোগ‍্য সেখানে ভয়নেই বর্ন বিদ্বেষের।

<

/code>