Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

কৃষ্ণনগরের চট্টোপাধ্যায় বাড়ীর প্রতিমা নীল বর্ণের কেন ?

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp

পুজোর আর খুব বেশি দেরি নেই। প্রস্তুতি শেষের পর্যায় । বাংলায় বারোয়ারী পুজোর সাথে সাথে বনেদি বাড়ী গুলিতেও সাজো সাজো রব। বছর ঘুরে মা আসছে বাপের বাড়ি। আজ জানবো কৃষ্ণ নগরের চট্টোপাধ্যায় বাড়ীর নীল দুর্গা নিয়ে কিছু কথা ।

তখনও ভারত বাংলাদেশ ভাগ হয়নি সেই সময়েই বাংলাদেশে চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় এই পুজো শুরু করেন।  বাংলাদেশে শুরু হওয়া সেই পুজো আজও চলে আসছে পুরনো রীতি মেনেই। পুজোর শুরু বাংলাদেশে হলেও পরে তারা কৃষ্ণনগরে চলে আসেন। সেখানে এসেও তারা সেই পুজো চালিয়ে যেতে থাকেন। আজও সেই পুজো একই ভাবে চলে আসছে কৃষ্ণগরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে।

এই বাড়িতে মা নীলবর্ণা হওয়ার পেছনে আছে এক কাহিনি। অন্যান্য বছরের মত সেই বছরও পুজোর আগে মায়ের মূর্তি গড়া হয়ে গিয়েছিল। এই মূর্তি গড়া পর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল, বিপত্তি ঘটলো মায়ের মূর্তি রং করতে গিয়েই। অন্ধকারে ঠাকুর রং করতে গিয়ে ভুল করে ঠাকুরকে নীল রং করে দেন ঠাকুর গড়ার কাজে নিযুক্ত সেই পাল। তার পরেই শুরু হয়ে যায় সেই ভুল শোধরানোর ব্যবস্থা। কিন্তু পরে আর ভুল শোধরানো যায়নি। ভুল শোধরানোর আগেই রাতে মায়ের স্বপ্নাদেশ পান চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়। স্বপ্নে মা তাকে জানান এই নীলবর্ণা রূপেই পুজো করতে হবে মা- কে। মায়ের স্বপ্নাদেশ অনুসারে সেই বছর থেকেই মায়ের নীলবর্না রূপই পূজিত হয়ে আসছে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। মা দুর্গা ছাড়া তবে আর কোনও দেব-দেবী সেখানে নীলবর্ণা নন।

এছাড়াও এই নীল দুর্গার আরও একটি বৈশিষ্ট্য আছে। আমরা সাধারণত দেখে থাকি মা দুর্গার ডান দিকে লক্ষী ও গণেশ অধিষ্ঠান করেন এবং বাঁ দিকে থাকেন কার্তিক ও সরস্বতী। এখানে তবে ঠিক উল্টো জিনিসটার দেখা মিলবে। এখানে মা দুর্গার ডানদিকে থাকে কার্তিক ও সরস্বতী আর বাঁ দিকে থাকে লক্ষী ও গণেশ। এটাই এখানকার ঠাকুরের আরও একটি বিশেষত্ব।

প্রতি বছর প্রথা মেনে সেখানে রথের দিন কাঠামো পুজো হয়ে যায়। আজও সপ্তমী থেকে নবমি পর্যন্ত সেখানে পশু বলি হয়ে থাকে। বাইরে থেকেও বহু মানুষ সেখানে আসেন মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে। বাড়ির মেয়ের মতই এখানে মায়ের ভোগ হয়ে থাকে। ভোগ হয়ো থাকে ভাত আর মাছ সহযোগে। মায়ের জন্য এই ভোগ বানান বাড়ির বয়োজেষ্ঠ্যরাই। এই সব নিয়মই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এখানে তবে মায়ের ভাসানের তেমন কোনও রীতি নেই। স্বাভাবিক নিয়ম মেনে দশমীর দিনই মায়ের ভাসান হয় সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More Related Articles

দেশ
“পাকিস্তানের হাতে শেষ সুযোগ? মাসুদ-হাফিজকে হস্তান্তর করলেই আসবে মাফ”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ভারত চায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক। কিন্তু সেটা কেবল সম্ভব যদি পাকিস্তান প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আন্তরিকতা দেখায়। মাসুদ আজহার ও হাফিজ সঈদের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।”

Read More »
Featured News
‘জ্বালানি মজুত পর্যাপ্ত, আতঙ্কের কারণ নেই’ — আশ্বাস ইন্ডিয়ান অয়েলের amidst উত্তেজনার আবহ

এই বিবৃতি এমন সময় এল যখন দেশের একাধিক রাজ্যে জ্বালানির দাম সাময়িকভাবে ঊর্ধ্বমুখী এবং কিছু জায়গায় দীর্ঘ লাইনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে পেট্রল পাম্পে। বিশেষত উত্তর ভারত ও পূর্ব ভারতের কিছু অংশে পেট্রোল-ডিজেলের উপর চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সাময়িক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Read More »
Breaking News
হাই অ্যালার্টে কলকাতা বিমানবন্দর! CISF জওয়ানদের ছুটি বাতিল, বাড়ছে নজরদারি

গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাবগুলির মধ্যে অন্যতম কলকাতা বিমানবন্দর এখন হাই রিস্ক জোনে। সাম্প্রতিক কিছু আন্তর্জাতিক গতিবিধি ও অনলাইন বার্তালাপ থেকে এই ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Read More »
error: Content is protected !!