Home » কেন সালমান খান কে হুমকি দেওয়া হল ? বেরিয়ে এলো চাঞ্ছল্যকর তথ্য ।

কেন সালমান খান কে হুমকি দেওয়া হল ? বেরিয়ে এলো চাঞ্ছল্যকর তথ্য ।

বলিউডের শুরুর দিক থেকে শুরু করে বর্তমানেও বার বার বলিউডের নাম করা নায়ক নায়িকা প্রযোজকরা অন্ধকার জগতের মাফিয়াদের টার্গেট হয় ? কেনই বা এবারেও সেলিম খান ও সালমান খান কে প্রানে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ?

 

বলিউড মানেই প্রচুর টাকার ব্যাবসা আর তারসাথে গ্ল্যামার জগত আর গ্ল্যামার জগত মানেই সুন্দরী রমণীদের দের আনাগোনা। মুম্বাইয়ে এক সময় করিম লালা থেকে শুরু করে দাউদ ইব্রাহিম পর্যন্ত এই বলিউড ফিল্ম জগত কে রেখে এসেছেন তাদের প্রথম নিশানায়। মুম্বাইয়ের বেশির ভাগ গ্যাং স্টার বা মাফিয়ারা স্মাগ্লিং আর বিল্ডিং প্রমোটার দের থেকে বেশ মোটা অঙ্কের তোলা আদায় করতো আর সেই টাকার বেশির ভাগটাই বেনামে লগ্নি করতো বলিউড ফিল্ম জগতে। বলিউড ফিল্ম জগত বা গ্ল্যামার দুনিয়াতে খুব সহজেই কালো টাকা সাদা টাকায় রুপান্তরিত করা যায় আর সেই কারনেই মাফিয়াদের প্রথম পছন্দ বলিউড।

লরেন্স বিষনোই

ক্ষমতা বা শক্তি প্রদর্শন, প্রচুর টাকা আর সুন্দরী রমণী –  এই হল আকর্ষণের মুল বিষয় । আর ফিল্মি তারকারা খুব ভালো করেই জানেন কাদের কে একটু ” তেল” দিয়ে চলতে হবে। কারন একটা ভালো ফিল্ম করতে গেলে নায়ক নায়িকা থেকে শুরু করে প্রায় সব কটি চরিত্রের জন্য খুব সুন্দর চেহারার অভিনেতা অভিনেত্রী প্রয়োজন হয়ে থাকে। এবং এই অভিনেতারা তাদের ফিল্মের প্রমোশনের জন্য অথবা তাদের বিভিন্ন কারনে সাধারন মানুষের খুব কাছেও আস্তে হয়। যদি তারা মাফিয়া বা গ্যাংস্টার দের কথা না শোনেন তাহলে মাত্র ৪/৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের মুখে ব্লেড জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত করা জেতে পারে যা তাদের সারা জীবনের ফিল্মি কেরিয়ার শেষ করে দেবার জন্য যথেষ্ট।  এছাড়া তাদের পরবর্তী ফিল্মে প্রযোজনার জন্য যাতে টাকার অভাব না হয় বা টাকার জোগান ঠিক থাকে সেই কারনেও মাফিয়া দের বা গ্যাংস্টার দের যথেষ্ট সমীহ করে চলেন বলি ফিল্মের কলা কুশলীরা । আর এই সব কারনেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই মাফিয়াদের যেকোন আনন্দ অনুষ্ঠানে বা তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রন পেলেই সেখানে উপস্থিত হন বলিউডের নামী দামি তারকা থেকে প্লেব্যাক সিঙ্গার অবধি , বিনা পারিশ্রমিকে এবং কখনো কখনো অনেক দামি উপহার নিয়েও ।

গোল্ডই ব্রার

অন্যদিকে উঠতি গ্যাংস্টার রা তাদের অপরাধের কাণ্ড কারখানা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজে প্রচার করতে থাকেন যাতে তাদের নামেই সকলে আতঙ্কে থাকেন। এদের বেশির ভাগই কোন অপরাধ সংগঠিত করার আগে  সামাজিক মাধ্যমে টার ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী কালে সেটি কে বাস্তবে পরিণতি দেন এটাই বর্তমান গ্যাংস্টার দের বর্তমান গতি প্রকৃতি। ফলত খুব সহজেই তারা অপরাধীক খবরের শিরনামে থেকে সমাজে তাদের আতঙ্ক বজায় রাখেন।

১৯৯৩ এ মুম্বাই সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই ভারতের সব থেকে ক্ষমতাশালী ডন বা মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিম টার দলবল নিয়ে প্রথমে দুবাই ও পরে পাকিস্থানে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকেই ভারতে ও পৃথিবীর অনান্য দেশে তাদের অপরাধিক ব্যাবসা পরিচালনা করছেন এদিকে সেই শুন্যস্থান পুরনের লড়াই শুরু হয়ে গেছে বলেই ধারনা গোয়েন্দা দফতরের। যদিও সেই  প্রতিযোগিতার অনেক টাই , পাকিস্থানে বসে নিয়ন্ত্রন করছেন স্বয়ং দাউদ ইব্রাহিম। বলা যেতে পারে দাউদ ইব্রাহিম ডি কোম্পানির নতুন টেন্ডার ডাকা হয়ে গেছে ভারতের অন্ধকার জগতে। এবং এই সব উঠতি গ্যাংস্টার দের কে ভারতের বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের তাদের ভোট ব্যাঙ্ক সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া আছে।

সৌরভ মহাকাল

কিছুদিন আগেই পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা এবং পপ গায়ক মুসেওয়ালা হত্যা কাণ্ডের পরেই উত্তর প্রদেশের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষনোই ( বর্তমানে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও তিহার জেলে বন্দি ) মুম্বাই এ প্রযোজক পারিচালক ও কাহিনীকার সেলিম খান ও তার ছেলে সালমান খান কে হত্যার হুমকি দেয় । লরেন্স কে এই হুমকি দেবার অপরাধিক ষড়যন্ত্রে সাহায্য করে তারই দলের অন্য দুই মাথা – গোল্ডই ব্রার । এয়াই মুহূর্তে গোল্ডই ব্রার কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রন করছে বলেই তদন্তে জানা গিয়েছিল। এই ঘটনা গুলি পর পর ঘটার পরেই মুম্বাই , দিল্লি ও পাঞ্জাব পুলিশ নড়ে চড়ে বসেন। ভারত চেষ্টা করছে কানাডা সরকারের সাথে কথা বলে গোল্ডই কে গ্রেফতার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতে আনা যায়। মুসেওয়ালা হত্যার জড়িত এবং সালমান খান কে হত্যার হুমকি দেবার অপরাধে পুলিশ লরেন্সের দলের এক সাগরেদ যার নাম  সৌরভ মহাকাল নামে এক দুষ্কৃতী কে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেই জানতে পারে গোল্ডই ব্রার এর সাথে লরেন্স বিষনোই এর যোগাযোগ এর যোগসূত্র ।

সৌরভ মহাকাল দুষ্কৃতী জানিয়েছে সালমান খান কে হুমকি দেবার  মুল কারন ছিল মোটা অঙ্কের টাকা তোলা আদায় করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!