ফাস্ট ফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এ সাবধানবাণী আপনি শুনেছেন। অথচ বাস্তব জীবনে মেনে চলতে অসুবিধে হয়, তাই তো? ভোজন রসিক অনেকেরই ঝোঁক ফাস্ট ফুডের দিকে। বাড়িতে শিশু থাকলে, তাদেরও একটা বয়সের পর ফাস্ট ফুডে ঝোঁক হওয়া স্বাভাবিক প্রবণতা। যদি এমন হয়, ফাস্ট ফুড না খাইয়ে সেই খাবারটাই বাড়িতে তৈরি করা যায়? তা হলে ক্ষতি খানিকটা কম হবে।
পিৎজা এখন আর ইতালীর কোনও বিশেষ পদ নয়, বিশ্বায়নের দৌলতে প্রায় সব রেস্তরাঁতেই তা পাওয়া যায় অনায়াসে। জনপ্রিয়তা ও চাহিদার নিরিখেও নিঃসন্দেহে একদম প্রথম সারির কিছু পদের মধ্যেই থাকে পিৎজা। কিন্তু দিনের শেষে এটি এখনও বিদেশি খাবার, বাড়িতে অতিথি এলে বা ছুটির দিনে পিৎজা খেতে ইচ্ছা করলে আমরা এখনও ভাবি দোকানের কথা। এ বার আর নিজের প্রিয় পদ খাওয়ার জন্য ছুটতে হবে না রেস্তরাঁয়। কোনও অ্যাপের সাহায্যও লাগবে না।
পিৎজা খেতে ভালোবাসেন, কিন্তু ভাবছেন বাড়িতে বানানোর অনেক ঝক্কি? এই মুহূর্তে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফাস্ট ফুড। ছোট, বড় সকলের পছন্দ পিৎজা। অর্ডার দিয়ে মাঝেমধ্যেই পিৎজা আনিয়ে খাওয়া হয়েই যায়। এই পিৎজাই আপনি বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি উপকরণ ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি কিছুটা কমতে পারে।
সাধারণ আটা মেখে একটু মোটা রুটি তৈরি করুন। তন্দুর থাকলে সবথেকে ভাল, তা না থাকলে গ্যাস ওভেনেই সেঁকে নিন। আগে থেকে সস তৈরি করে রাখুন। তার জন্য প্রথমে টোম্যাটো মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। এ বার কড়াইতে অলিভ অয়েল দিয়ে টোম্যাটো পেস্ট এবং আদা বাটা আঁচ কমিয়ে কষিয়ে নিন। ঘন হয়ে এলে এর মধ্যে বেসিল পাতা, অরিগ্যানো যোগ করে দিন। সস ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সেঁকে রাখা রুটির উপর মাখিয়ে দিন।
এ বার এর উপরে পছন্দ মতো টপিংস সাজান। মাশরুম, বেল পেপার, পেঁয়াজ, চিকেন ব্যবহার করতে পারেন। এ বার এর উপরে চিজ নিয়ে তন্দুর বা গ্যাস ওভেনে সেঁকে নিন। তাহলেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলতে পারবেন পছন্দের পিৎজা।