স্বর্ণালী পাত্র : “নাসা” – এর বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন নতুনের সন্ধানে। মহাকাশ তথা বিশ্বব্রম্ভান্ড -র পরিসর বৃহৎ। এর কোনো শেষ বা শুরু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে “নাসা” -র বিজ্ঞানীদের দৌলতে আমরা নানান সময় নানান গ্রহ , উপগ্রহ ও মহাজাগতিক বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এইবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ১৭ মে,২০২৩ সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল জানিয়েছে যে, তারা দূরবর্তী সৌরজগতে একটি পৃথিবীর চেয়ে সামান্য বড়ো আকারের এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছে। তবে, এর একটি বিশেষ রয়েছে। নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটি আগ্নেয়গিরিতে ঠাসা।
Discovery Alert!📣
— NASA Exoplanets (@NASAExoplanets) May 17, 2023
An Earth-sized world on the edge of its habitable zone is being pulled by a super-Earth with such force that scientists think it's causing volcanic activity. And those volcanoes might mean nightside clouds (and maybe water?). https://t.co/XgBSXHFa6u pic.twitter.com/FIhkI6KWpb
পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে “এলপি ৭৯১-১৮ ডি”। ক্রেটার নক্ষত্রপুঞ্জে- এর অবস্থান। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে ঠাসা এই নয়া গ্রহটি প্রদক্ষিণ করছে ছোট আকারের একটি বামন নক্ষত্রকে। তারা মনে করছেন প্রতিনিয়ত অগ্নুৎপাত ঘটে চলেছে এই গ্রহটিতে,এবং তারা এও মনে করছেন প্রত্যাশা মতন যদি গ্রহটি সক্রিয় হয়ে থাকে তবে এতে বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব থাকতে পারে। এ বিষয় এই মুহূর্তে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না তারা।
ট্রানসিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট বা টিএসএস এবং স্পিতজার স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহটি আবিষ্কার করা হয়েছে। এর আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, জোয়ার – ভাটা লকিং। অর্থাৎ গ্রহটি একটি নক্ষত্রের চারদিকে আবর্তিত হলেও নিজের অক্ষের উপর আবর্তিত হয় না। এর ফলে শুধুমাত্র গ্রহটির একদিক সর্বদা নক্ষত্রের মুখোমুখি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগ্নেয়গিরির এই কার্যকলাপ একটি বায়ুমণ্ডল বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে গ্রহটির যেই দিকটিতে সকল সময় শীতল রাত থাকে সেখানে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হতে পারে, যা সম্ভাব্য তরল জলের জন্য অনুকূল। বৃহস্পতির উপগ্রহ “মুন লো” এখনো পর্যন্ত সৌরজগতে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি সম্বলিত। নতুন আবিষ্কৃত গ্রহ এলপি ৭৯১-১৮ ডি – তে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা তা ছাপিয়ে যাবে কিনা সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।
নয়া গ্রহটির আবিষ্কার সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়।