
শারদীয় উৎসবে এই প্রথম আমরা দুর্গা পুজো ও কালী পুজো তে সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠান আয়োজন করলাম । বাঙালী সারা টা বছর অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে এই কটা দিনের জন্য ।
- শ্রেষ্ঠ প্রতিমা – মৈনাক ক্লাব , রিজেণ্ট প্লেস , কোলকাতা ।
- শ্রেষ্ঠ প্রতিমা – মৈনাক ক্লাব , রিজেণ্ট প্লেস , কোলকাতা ।
ধনী থেকে দরিদ্র, শিশু থেকে বৃদ্ধ, আবাল বৃদ্ধ বনিতার এই অধীর অপেক্ষার পর শারদ উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন সকলেই। সকলের মূখেই ফোটে হাসি। যুগ যুগান্তর ধরে হয়ে আসা আনন্দ উৎসব শুরু হয় দুর্গা পুজো থেকে, শেষ হয় জগধাত্রী পুজোয়। যদিও কলকাতায় ইদানিং কালেই জগধাত্রী পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- শ্রেষ্ঠ মণ্ডপ – বিজয়গড় , ৬ এর পল্লী
- শ্রেষ্ঠ মণ্ডপ – বিজয়গড় , ৬ এর পল্লী
আসলে শারদ উৎসব মানেই তো বাঙালির আবেগ। সেই অাবেগ কেই এ বছর সম্মান জানিয়েছে ইউনেসকো। তাই এ বছর আমরাও আমাদের দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস থেকে আয়োজন করি এক নতুন শারদ সম্মানের। দুর্গা পুজোর এক প্রাচীন অঙ্গ ঢাক আর সেই ঢাক বাদ্যকর দের শিল্পীর সম্মান জানাতেই আমরা শ্রেষ্ঠ ঢাক সম্মান এর মাধ্যমে শহরের সেরা ৫ টি পুজো কমিটির ঢাকিদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম শিল্পীর সম্মান। আমাদের এই অনুষ্ঠানে প্রতিযোগী হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছিলেন প্রায় ১৫০ টির বেশী পুজো কমিটি।
- ঠাকুর পুকুর, রঞ্জিত পার্ক উন্নয়ন সমিতি। শ্রেষ্ঠ-মন্ডপ।
- ঠাকুর পুকুর, রঞ্জিত পার্ক উন্নয়ন সমিতি। শ্রেষ্ঠ-মন্ডপ।
দূরগোৎসবের পরেই বাঙালি মেতে ওঠেন কালীপুজোয়। কলকাতা শহরের নাম করন নাকি কালীক্ষেত্র থেকে কলিকাতা যা এখন কলকাতা। সেখানে সেই আলোক উৎসবে আমরাই বা কি করে পিছিয়ে থাকি? তাই দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলসের আয়োজন ছিল “প্রজ্ঞা দীপ সম্মান”।

নিউ আলিপুর , সাহা পুর মুক্তি সংঘ – শ্রেষ্ঠ পরিবেশ
এ বারও প্রায় শতাধিক পুজো কমিটি আমাদের এই সাম্মানিক অনুষ্ঠানে তাদের নাম নথিভুক্ত করেন। আমরাও আপ্লুত হই, কিন্তু বেশীর ভাগ পুজো কমিটির মন্ডপ ও প্রতিমার সাজসজ্জা শেষ হয়েছে ২২ শে অক্টোবর। ২৩ শে অক্টোবর আমরা পুজো পরিক্রমাতে গেলেও সম্মূখীন হতে হয় নিদারুণ যানযটের। ২৪ শে অক্টোবর অর্থাৎ কালীপুজোর দিন সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য বেশ কিছু মন্ডপে আমরা যেতে পারিনি। তবে যে কটি যেতে পেরেছি তার মধ্যেই বিচারের মাধ্যমেই উঠে এসেছে বিজয়ীদের নাম।
- গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার – শ্রেষ্ঠ মণ্ডপ
- গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার – শ্রেষ্ঠ মণ্ডপ
তবে সত্যি বলতে আক্ষেপ থেকে গেছে আমাদের, কারন খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৎসহ কলকাতা শহরের বিখ্যাত যানযট ও তার সাথে সিত্রাং এর বিপর্জয় কে মাথায় নিয়ে সব পুজো মন্ডপে আমরা পৌছাতে না পারার জন্য। আশাবাদী সামনের বছর আমরা আমাদের আক্ষেপ সরিয়ে উঠতে পারবো।
সকল কে শুভ দীপাবলীর আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল দ্যা ইন্ডায়ান ক্রনিকেলসের তরফ থেকে।
Leave a Reply