পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস (World No Tobacco Day)। ১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) তামাক জাত দ্রব্য থেকে বিশ্ব সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে ৩১ শে দিনটিকে তামাকমুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি ওই একই বছরে ৭ই এপ্রিল দিনটিকে বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে WHO। সেই থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে প্রতিবছর।
এই যে তামাক মুক্ত দিবস কিন্তু দেশ কি তামাক মুক্ত? তামাকজাত দ্রব্যের ওপরে যে বীভৎস ছবি থাকে তা দিয়ে কি খাওয়া বন্ধ হয়েছে নাকি মানুষ সচেতন হয়েছে? কিছু হয়নি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সাড়া ভারতবর্ষে সব থেকে বেশি সিগারেট কেনাবেচা হয় কলকাতায়। অর্থাৎ তামাক বিক্রির দিক থেকে কলকাতা ভারতে প্রথম। সমীক্ষা আরও বলছে কলকাতায় একটা মানুষ গড়ে এক সপ্তাহে ৩৮৪ টাকা খরচ করে তামাকের পিছনে।
কলকাতায় করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে তামাক ব্যবহার কারীদের মধ্যে ৯৩% মানুষ জানে যে তামাক শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু তাও তারা সিগারেট খাচ্ছে। আবার এও জানা যায় তামাক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৪% মানুষ কখনও তামাকের নেশা ছাড়ার কথা ভাবেনি পর্যন্ত। বাকি ৬% মানুষ ভেবে থাকলেও ছাড়তে পেরেছে কিনা সেটাই প্রশ্ন! এদের মধ্যে ৬৪% মানুষের কোন জীবন বিমা বা মেদিক্লেম নেই। তাও তারা নেশা ছাড়তে ব্যর্থ।
এখন তো আবার দেশে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। পুরনো দিনের গ্রাম্য মহিলাদের মধ্যে নস্যি গুটখা বা বিড়ি খাওয়ার একটা চল থাকলেও আধুনিক মেয়েদের সিগারেট খাওয়ার চল গত বেশ কিছু বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তামাক নিলে ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েদেরও ক্যান্সারের ভয় থেকেই যায়। তাছাড়া তামাক জাত দ্রব্য মেয়েদের বন্ধ্যাত্তের দিকেও ঠেলে দিতে পারে। এত সব জানা সত্ত্বেও তামাকজাত দ্রব্য কেনা বা বেচা কোনটাই বন্ধ হয়নি তাই সেখানে দাঁড়িয়ে এই তামাক মুক্ত দিবস পালন করা আতিশয্যের বিষয়। তবুও এই দিনের দোহাই দিয়ে যদি একজন মানুষও একদিনের জন্য তামাক থেকে দূরে থাকে তাহলেই এই দিনের স্বার্থকতা।