নেতা থেকে অভিনেতা, সকলকেই সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের ভাব মুর্তি তুলে দেখানো টাই এখন বড় বালাই। গতকালের ভাইফোঁটা তেও তার কোন ব‍্যাতিক্রম ঘটেনি।

ভাইফোঁটা একেবারেই একটি পারিবারিক ঊৎসব। হিন্দু বাঙালী ভাই ও বোনের সম্পর্কের একটি বিশেষ পবিত্র অনুষ্ঠান। এ দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদা দের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ঈশ্বরের কাছে ভাই বা দাদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন, সাথে থাকে মিষ্টি মূখের আয়োজন ও নানান আহারের ব‍্যবস্থা। দাদা বা ভাই রাও তাদের সাধ‍্য মত উপহার দিদি বা বোন কে দিয়ে থাকেন। এই রীতি পালন হয়ে আসছে শতাব্দী জুড়ে।

গতকাল আমাদের কলকাতার প্রায় সব নেতা নেত্রী থেকে অভিনেতা অভিনেত্রীরাও মেতে উঠেছিলেন এই আনন্দে। সকলেই সামাজিক মাধ‍্যমে শেয়ার করেছেন সেই ছবি। সেখানেই দেখা গেল রানি রাসমনি খ‍্যাত অভিনেত্রী দ্বীতিপ্রিয়া কেও ভাইফোঁটা উদযাপন করতে কিন্তু তার শেয়ার করা ছবিতেই ধরা পড়লো কিছু ভেদাভেদের লক্ষন।

অনেকেরই সহধর ভাই বা বোন না থাকায়, আত্মীয় বা পরিচিত দের মধ‍্যেও ভাই বোনের সম্পর্ক গড়ে এই রীতি পালন করেন। কিন্তু কোন ভাবেই সেখানে ভাই বোনেদের মধ‍্যে কোন ভেদাভেদ থাকে না। এটাই বাঙালির রীতি।
কিন্তু দ্বীতিপ্রিয়ার শেয়ার করা ছবি তে দেখা যাচ্ছে তিনি কয়েকজন পথ শিশুদের ভাইফোঁটা দিয়েছেন, সাথে উল্লেখ করেছেন এদের উনি ছাড়া ভাইফোঁটা দেবার কেউ নেই অথচ ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে এই পথ শিশু দের তিনি তার ঘরেও প্রবেশ করতে দেননি। এপার্টমেন্টের গাড়ির পার্কিং এর জায়গায় এদের ভাইফোঁটা দিয়েছেন আবার অন‍্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে দ্বীতিপ্রিয়া তিনজন অগ্রজ কে তার ফ্ল‍্যাটে বসিয়ে ফোঁটা দিচ্ছেন সাথে উল্লেখ করেছেন এদের ফোঁটা দেবার লোক থাকলেও দ্বীতিপ্রিয়া না দিলে ফোটা সম্পূর্ণ হয়না।

পথ শিশুদের সাথে এই বিভেদ কেন? গরিব বলে? নাকি শুধুমাত্র ছবি তোলাটাই দরকার ছিল বলে? ছবি তো মিথ‍্যা বলে না, সে কথা বোধহয় রানি মা জানেন না বা খেয়াল করেননি।