কালী পুজোর পরের দিন থেকেই এই ছবিটি একটি সামাজিক মাধ‍্যমে ভাইরাল হয়। ছবিটি তে দেখা যাচ্ছে স্বয়ং মহাদেব মা কালীর বুকের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। এ দৃশ‍্য বহু মানুষের কাছেই অজানা।

সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ছবি

বেশির ভাগ মানুষই এতদিন জানতেন, অসুরদের বধ করতে দেবী এই রুদ্র রুপ ধারন করেছিলেন এবং তাকে শান্ত করতেই শিব তার পায়ের কাছে শুয়ে পড়েন।

কিন্তু এখানে দৃশ‍্য একেবারেই বিপরীত এবং অচেনা। সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি শেয়ার হতেই শুরু হয় নানা রকমের ট্রোল। কেই বলেন শিল্পী নেশা করে মুর্তি তৈরী করেছেন আবার কেউ বলেন শিব আর সহ‍্য করতে না পেরে এই কান্ড ঘটিয়েছেন।

শুরু করলাম খোঁজ খবর। জানতে পারলাম এই ধরনের মু্র্তি প্রতিষ্ঠা করা আছে কলকাতার কাছেই মধ‍্যমগ্রামের মহাকাল মন্দিরে। এটি মহাকালের একটি রুপ।

মধ্যমগ্রাম মহাকাল মন্দিরে মহাকাল মূর্তি

মহাকাল শব্দের একটি অর্থ আছে। কাল অর্থাৎ সময়। যার থেকে বড় কিছু নেই। শিবের আর এক নাম মহাকাল। আজ যা ওপরে, কাল তা নিচে। যা পৃথিবীর পরিবর্তনশীলতা কে নির্দেশ করে। পৃথিবীতে স্থায়ী বলে কিছুই নেই।

আমরা কদিন আগে যার আরাধনা করলাম তিনি মহাকালী আর ইনি হলেন মহাকাল। মহাদেব ও পার্বতীর এরকম অনেক রুপ আছে যেমন কাল ভৈরব ও কাল ভৈরবী, মহাকাল ও মহাকালী। এসবই তাদের রুপের ভেদাভেদ। এই রুপের মুর্তিও হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ্য একটি অঙ্গ।

শাস্ত্রে বলা আছে মহাকাল মুর্তি খুবই উগ্র। তাই এনার পুজো করা সহজ নয়, ফলে সব জায়গায় এনার এই মুর্তির দেখাও পাওয়া যায় না এবং এই বিষয়ে আমরা জানিও খুব কম। এরকম অজানা রুপের দেব দেবী অনেক আছে যা সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি। যেমন মহালক্ষী, যার রুপ কোজাগরী লক্ষীর থেকে আলাদা। মহা সরস্বতীও সরস্বতীর থেকে দেখতে আলাদা। হিন্দু শাস্ত্রে এরকম অনেক তথ‍্য আছে যা আমাদের অজানা। তাই ব‍্যাঙ্গ করার আগে তথ‍্য জাচাই করে দেখেনিন।