বঙ্গ রাজনীতি তে এখন একটাই কথা বেশ কয়েক বছর ধরে প্রচলিত । ”খেলা হবে” । ২০২১ এর বিধান সভা ভোটে বিজেপির ভরা ডুবির পর থেকে শুরু হয় রাজ্য বিজেপি নেতাদের অন্তরদ্বন্দ । অনেকেই স্বীকার করেন যে সঠিক ”মুখ” না থাকার পর অন্য রাজ্য থেকে অবাঙালি বিজেপি নেতা দের বাংলায় এনে প্রচার করা বাঙালী মেনে নিতে পারেনি । কেউ কেউ দোষ দিয়েছেন তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সম্পাদক দীলিপ ঘোষ কে । এর পরেই যারা তৃনমূল ছেড়ে বিজেপি যোগদান করেছিলেন তারা আবার একে একে তৃনমূলে ফিরতে শুরু করেন।
কেন্দ্র সরকার রাজ্য বিজেপি সম্পাদকের পদ থেকে দীলিপ ঘোষ কে সরিয়ে তার যায়গায় নিয়ে আসেন সুকান্ত মজুমদার কে , কিন্তু রাজ্যবাসী তথা রাজ্য বিজেপির অনেকেই সুকান্তমজুমদার কে দীলিপ ঘোষ এর পাশে ” বিরিয়ানির পাশে শুক্ত বলে মনে করেন”। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সাথে মাননীয়ার ও রাজ্য সরকারের সম্পর্ক ছিল অম্ল মধুর । কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই বোঝা গেছে তৎকালীন রাজ্যপাল কতটা নিরপেক্ষ ছিলেন । বর্তমানে তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদের পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন ।
এর পরেই রাজ্যে আসেন নব নিযুক্ত রাজ্যপাল লা গানেশন । মাননীয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতেই ” মাননীয়ার সাধারন জীবনযাপন দেখে” অবিভুত হন এবং তখনই মাননীয় রাজ্য পাল লা গানেশন তার দাদার জন্মদিনে তাদের বাড়িতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আমন্ত্রন জানান। আজ চেন্নাইতে সেই অনুষ্ঠানেই যোগদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তবে রাজ্য বিজেপি নেতারা এই ঘটনা নিয়ে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি । তবে এই সমীকরণ যে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে নতুন খেলা খেলতে পারে তা রাজ্যবাসী আন্দাজ করতে পারছেন।