আমরা শুরুর দিন থেকেই “রাজনীতি” বিভাগ রেখেও সেই অর্থে সংবাদ করিনা। কি করবো বলুন তো? কাকে নিয়ে করবো? যদিও আমরা সকলেই রাজনীতির অঙ্গ এবং সকলেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে রাজনীতি করেই থাকি। সমগ্র জীব কুল-ই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে রাজনীতি করে। আপনাদের আমার কথা বিশ্বাস না হলে টেলিভিশনে একটু অ্যানিমাল প্লানেট দেখলেই বুঝবেন। কিন্তু আমি বা আমরা এখানে রাজ্য রাজনীতি বা দেশের রাজনৈতিক সংবাদের কথা বলতে চাইছি।
আসলে আমরা কু-কথা বা নেতিবাচক সংবাদ করতে চাইনা। যে খবর দুই বন্ধুর মাঝে বিবাদ ঘটাতে পারে, যে সংবাদ পড়ে মানুষ আর এক মানুষকে খারাপ নজরে দেখুক বা মন খারাপ করুক আমরা চাইনা।
সংবাদ প্ত্র বা যে কোন সংবাদ এর চ্যনেল খুললেই প্রায় ২৪ ঘণ্টাই আনন্দের সাথে ১৮ বার করে গোটা দেশে কটা অপরাধ হল, কটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হল , কটা ধর্ষণ হল , কোন দেশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে , করোনা প্রতিদিন কতটা বাড়ছে , কোন কোন খাবার খেলে আপনি মৃত্যুর দিকে আরও এগিয়ে যাবেন আর এর সাথে থাকে কার স্ত্রী কার সাথে পালিয়ে গেছে বা কোন বিখ্যাত মানুষ কার সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত ।
এই সংবাদ গুলি মানুষ কে আরও নেতিবাচক মনোভাবের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে না কি ? করোনা কালের পর থেকে সংবাদ সংস্থা গুলির ওপর থেকে সাধারন মানুষের কৌতূহল কমেছে তার সাথে অনেকেই তাদের সংবাদ উপস্থাপন নিয়ে মিম করাও শুরু করেছেন । এর থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় মানুষ কি চাইছে তবুও টেবিল চাপড়ে চিৎকার করে করে একটি সরষের দানা কে পরমানু বোমা তৈরি করে দেখানো টাই তাদের কাজ অথচ রোজ সন্ধায় রাজনৈতিক মানুষ দের ডেকে বিতর্ক সভায় ঝগড়ায় প্ররোচনা দেবার আগে বা পরে জানিয়ে দেয় উক্ত অনুষ্ঠানে সকল বক্তব্যের দায় বক্তার, সংবাদ পরিবেশকের কোন দায় নেই।
আগে অনেকেই সাংবাদিক বা সংবাদ সংস্থা কে মহাভারতের সঞ্জয়ের সাথে তুলনা করতেন , যিনি ধৃতরাষ্ট্র কে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রায় সরাসরি সম্প্রচার দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এখন মানুষ সাংবাদিক বা সংবাদ পরিবেশক কে দেব মুনি নারদের সাথে তুলনা করেন যিনি দেবতাদের গুপ্ত অভিসন্ধি একে ওপর কে জানিয়ে দিয়ে ঝগড়ার পরিস্থিতি তৈরি করতেন।
হাস্যকর ব্যাপার হল আজ প্রায় ৩০ বছরের বেশি হয়েগেল কোন অজানা কারনে ”প্রেস ক্লাব” চিত্র সাংবাদিক দের সাংবাদিক পরিচয় দিতে নারাজ । দেশে সহস্র্য ডিজিটাল নিউজ চ্যানেল এসে গেলেও তাদের কে সম্মান বা স্বীকৃতি দেবার কোন ভাবনা চিন্তাই রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার কাররই নেই।
জনগন সব জানেন – সব বোঝেন আমরা নতুন করে বোঝাতে চাইনা।
তবে হ্যাঁ। আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। আপদে বিপদে সুখে দূখে। তাই রাজনীতি বিভাগে এবার শুধু থাকবে মানুষের কথা। তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা। যে সংবাদ সকলের কাছে পৌঁছান আগে দরকার সেই খবরই আমরা করবো।
ভারতের তদন্তকারি দল গুলি ভীষণ রকম দক্ষ, কোন নেতা কোথায় কি করছেন ? কোথায় তার প্রেমিকা থাকেন সব সুত্র খুঁজে বের করে ফেলেন কিন্তু আজও ”নেতাজির” সম্পত্তি কোথায় গেল সে খবর আজও প্রকাশ্যে আনতে পারলেন না ! শেষ পর্যন্ত নেতাজির কি হয়েছিল জানতে পারলেন না বা ভারতের নাগরিক দের জানাতে পারলেন না !
আমাদের ক্ষমতা খুব সীমিত । আমাদের প্রতিরোধ করাও খুব সহজ । আমাদের কে কালিমালিপ্ত করাও খুব সহজ । তবুও আমরা ”নেতাজি” সম্পরকে জানতে ও জানাতে আগ্রহী । বিশিষ্ট নেতাজি গবেষক ডাঃ জয়ন্ত চৌধুরী আমাদের জানাচ্ছেন তার গবেষণায় তিনি কি কি জানতে পেরেছেন দেশ নায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস কে নিয়ে । আজ দ্বিতীয় পর্ব ।