কালো চাল যেটি বেগুনি চাল হিসাবেও পরিচিত। এটি ধানের এক জাতীয় বিশেষ ধরনের প্রজাতি। এর বিভিন্ন প্রকরণের মধ্যে কয়েকটি বেশ আঠালো বা চটচটে চাল উৎপাদন করে। বিভিন্ন ধরনের প্রকরণের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশীয় কালো চাল, ফিলিপাইন বালাতিনা চাল, এবং থাই জুঁই (জেসমিন) কালো চাল।
মণিপুরে এই কালো চাল চক-হাও নামে পরিচিত। সে অঞ্চলে কালো চাল থেকে তৈরি নানান মিষ্টান্ন অনুষ্ঠানাদিতে মূল ভোজনপর্বে পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশে এটি কলো ধানের চাল নামে পরিচিত এবং পোলাও বা পায়েস ভিত্তিক মিষ্টান্ন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। কালো চালের খোসা অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ। এই চালের শস্যদানায় আঁশের পরিমাণ বাদামি চালের সমপরিমাণ এবং এর স্বাদও বাদামি চালের মত।
কৃষি কর্মকর্তাদের কথায়, দেশে প্রথম কালো চালের ধানের আবাদ শুরু হয় কুমিল্লায়। এই ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ধানগাছের পাতা ও কাণ্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো। তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত।
কালো চালের রঙ গাঢ় কালো এবং সিদ্ধ হয়ে গেলে গাঢ় বেগুনি হয়ে যায়। এর গাঢ় বেগুনি বর্ণের জন্য মূলত দায়ী অ্যান্থোসায়ানিন উপাদানগুলি, যা অন্যান্য রঙের চালের তুলনায় ওজনে বেশি। এটি জাউ, মিষ্টান্ন, চিরাচরিত চীনা কালো চালের পিঠা, রুটি এবং নুডলস তৈরির জন্যও উপযুক্ত।
অ্যান্থসায়ানিন বেশি থাকে যা একটি ক্যান্সার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
ফাইবার অনেক বেশি থাকে। একারণে এ চালের ভাত শরীরে গ্লুকোজ তৈরি করে খুব ধীর গতিতে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই এ চালকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব কার্যকর বলা হয়।
আমিষ, ভিটামিন, জিংক, খনিজ পদার্থসহ অন্য উপাদানগুলো সাধারণ চালের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি থাকে। এই জন্য এই চাল খাওয়া খুবই উপকারী বলে গণ্য করা হয়।